পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরসভার ডেপুটি কমিশনার (১) সহ অর্থ বিভাগের একাধিক পদস্থ কর্তা, কমিশনারের অফিসের একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই কমিশনার ধবল জৈন সহ অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন। তিনি বাড়ি থেকেই পুরসভার কাজ পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন। অনেকেরই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাওড়া পুরসভা সংলগ্ন এম জি রোড ও ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোড—দু’টি রাস্তাই কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে। এই দুই রাস্তার ধারেই পুরভবন, আদালত, জেলাশাসকের দপ্তর, নগরপালের বাসভবন, হাওড়া জেলা হাসপাতাল। কয়েক মিটার দূরে হাওড়া থানা, জেলা পরিষদ ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়। জেলা পরিষদ ও পুলিস কমিশনারের অফিসে কর্মরত একাধিক কর্মী আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আজ থেকে কোন কোন অফিস খোলা থাকবে, তা নিয়ে কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এবিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার জেলাশাসক মুক্তা আর্যকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এদিন বিকেল ৫টা বাজতে না বাজতেই পুলিস কন্টেইনমেন্ট জোনগুলির রাস্তা গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেয়। ফলে অনেককেই ঘুরপথে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়েছে অনেকের। মানুষকে ঘরে থাকার আবেদন জানিয়ে পুলিস মাইকিং শুরু করেছে। এবার নিয়ম ভাঙলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিস। এদিন হাওড়ার পুলিস কমিশনার কুণাল আগরওয়াল শহরের ছ’টি কন্টেইনমেন্ট জোন ঘুরে প্রস্তুতির তদারকি করেছেন। বুধবার প্রকাশিত কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, হাওড়া শহরে ৩৬ থেকে কমে এখন কন্টেইনমেন্ট এলাকা হয়েছে ১৭টি। এনিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যে সব জায়গায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, এমন অনেক এলাকা তালিকায় নেই কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পরিস্থিতি জরিপ করছেন হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের আধিকারিকরা। -নিজস্ব চিত্র