সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বিজেপির এক নেতার কথায়, এদের আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হয়নি। জেলা থেকে রাজ্যের কাছে কারা কারা এলে প্রচারে সুবিধা হয় বা প্রার্থী লাভবান হয়, তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের নেতারা গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন। আজ, সোমবার করিমপুরে প্রচারে আসার কথা রয়েছে দিলীপ ঘোষের। মুরুটিয়া থানা এলাকার বালিয়াডাঙা হাইস্কুল মাঠে তাঁর সভা করার কথা রয়েছে। জেলার এক নেতা বলেন, সোমবার থেকে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়া হচ্ছে।
নদীয়া উত্তর জেলা বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, কারা কারা আসছেন, সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। তবে স্মৃতি ইরানির আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তাছাড়া, রাজ্যের এক ঝাঁক নেতারা আসবেন। দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গেলেই কে কবে আসবেন, তা জানানো হবে।
লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। যদিও করিমপুর কেন্দ্রে তা হয়নি। বরং বিজেপির থেকে ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। এই লোকসভা ভোটে করিমপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পেয়েছে ভোট ৮৭,৫১৩। বিজেপি প্রার্থী ৭৩,১৭৩ এবং সিপিএম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী ৩৯ হাজার ৭০৬টি ভোট ভোট পেয়েছিল। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোট কমেছিল তৃণমূলের। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি’র পক্ষ থেকে এই আসন দখলে মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। লড়াইটা যে সহজ নয়, সে কথা আড়ালে হলেও মানছেন বিজেপির নেতানেত্রীরা। বিজেপি জেলা সভাপতি সহ জেলার নেতাদের একটা অংশ করিমপুরে পড়ে রয়েছেন।
করিমপুরে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে। বিজেপির দাবি, জয়প্রকাশবাবুর জন্ম করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাগচী যমশেরপুর গ্রামে তাঁর মামাবাড়িতে। কংগ্রেস আমলে তাঁর বাবা জগন্নাথ মজুমদার ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। জয়প্রকাশবাবুর পড়াশুনাও কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে। ফলে তাঁকে ‘বহিরাগত’ তকমা কোনওভাবেই দেওয়া যায় না। জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, রাজ্যের এক নেতাকে এই আসনে দাঁড় করানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে জেতাতে দল ঝাঁপাবে।