সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এদিন ভোর ৬টা নাগাদ শান্তিনিকেতন থানার গুরুপল্লির বাসিন্দা লতিফ শেখ ছেলে জাকির শেখের সঙ্গে বাইকে চেপে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর ডায়ালিসিস করানোর জন্য যাচ্ছিলেন। বোলপুরের লায়েকবাজার মোড়ের কাছে অপরদিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে তাঁদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০মিটার অ্যাম্বুলেন্সটি বাইকটিকে টেনে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই লতিফ শেখ ও তার ছেলে জাকির শেখ মারা যান। অবস্থা বেগতিক বুঝে ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সের চালক এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তার যে বাঁক রয়েছে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি বাইকে ধাক্কা মারে। কয়েক ঘণ্টা পর রাস্তার ধারে উল্টে পড়ে থাকা ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত দু’জন শান্তিনিকেতনের কলাভবনের অধ্যাপক ও খ্যাতনামা শিল্পী শেখ শাহজাহানের বাবা ও ভাই। শিল্পী এই ঘটনার পিছনে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন। তিনি ঘাতক অ্যাম্বুলেন্স চালকের শাস্তিও দাবি করেছেন।
বোলপুর ও শান্তিনিকেতন এলাকায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। গত শনিবার কালীসায়র মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দু’জন গাড়ি চালকের মৃত্যু হয় ও এক পুলিসকর্মী সহ পাঁচ সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। রবিবার ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠেছে বোলপুর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। বোলপুরের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বেশকিছু দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে কোনওরকম পুলিসি ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায় না। যার ফলে বেপরোয়া গতিতে ছুটতে থাকে যানবাহন। দুর্ঘটনা ঘটার পর কিছুদিন পুলিসের তৎপরতা থাকলেও ধীরে ধীরে তা বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা কমাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিসের তরফে সেদিকে কোনও নজরদারি নেই বললেই চলে।
লায়েকবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী কালী দাস বলেন, হাসপাতালের দিক থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রচণ্ড গতিতে আসছিল। মোড়ের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা বাইকটিকে সজোরে ধাক্কা মারে।
মৃতের ছেলে শেখ শাহজাহান বলেন, মদ্যপ অবস্থায় কীভাবে অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছিল। তার প্রধান কারণ প্রশাসনিক কোনও নজরদারি না থাকা। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।