সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মেন্টর অমরনাথবাবু বলেন, নাগরাকাটায় সন্ধ্যা নামতেই হাতির আতঙ্কে মানুষ সিঁটিয়ে থাকে। বাসিন্দারা তাই বিকেল থাকতেই বাড়িতে চলে আসেন। হাতির আক্রমণে খেতের পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে। স্কুলবাড়িও রক্ষা পাচ্ছে না। হাতির আক্রমণ থেকে নিস্তার পেতে জেলাশাসককে জানাই। গ্রামবাসী সহ আমি তাঁকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আংরাভাসা, শুল্কাপাড়ায় ১০টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি বনকর্মীরা যাতে প্রতিরাতেই টহল দেন তার অনুরোধও করেছি।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, নাগরাকাটায় হাতি উপদ্রবের কথা শুনেছি। সমস্যা সমাধানের জন্য আমি বনদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে করব।
ডুয়ার্সে হাতির করিডরে একাধিক চা বাগানে ব্লেডযুক্ত তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। সেই তারে বাধা পেয়ে এখন হাতির দল তাদের পথ পাল্টাতে শুরু করেছে। নতুন পথ খুঁজতে তারা লোকালয়ে চলে আসছে। তাছাড়াও খেতে ধান পাকায় হাতির পাল ধান খাওয়ার জন্য লোকালয়ে আসছে। সন্ধ্যা নামতেই তাই লোকালয়ে হাতি চলে আসছে। মূলত খাবারের খোঁজেই হাতির পাল আসছে। নাগরাকাটার ব্লকজুড়েই সম্প্রতি হাতির হামলার ঘটনা বাড়ছে।
সম্প্রতি শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক মিটিংয়ে জেলাশাসকদের জনসংযোগ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী জোর দিতে বলেন। স্থানীয় মানুষের সমস্যার কথা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শেই শনিবার নাগরাকাটার আংরাভাসায় জেলাশাসক প্রশাসনিক সভা করেন। সেখানেই স্থানীয়রা হাতির হানা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জেলাশাসককে উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানান। জেলা পরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা নিজেই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুল্কাপাড়া, আংরাভাসায় ডায়ানা জঙ্গল আর গোরুমারা অভয়ারণ্য রয়েছে। সেখান থেকে প্রায়ই হাতি বেরিয়ে আসছে। হাতির হামলায় বাড়িঘর নষ্ট হচ্ছে। গত কয়েক দিনে বিঘার পর বিঘা খেতের ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভুট্টা চাষ কৃষকরা একপ্রকার বন্ধই করে দিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় অন্ততপক্ষে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার বসাতে হবে। হাতির হানা থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীদের নিয়ে গ্রুপ বানাতে হবে। যাঁরা সন্ধ্যার পর পাহারা দেবেন। এই কাজ যাঁরা করবেন তাঁদের ন্যূনতম সান্মানিক দিতে হবে। এছাড়াও বস্তিতে পথবাতির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সোলার লাইট বসাতে হবে। গ্রামবাসীদের হাতে পর্যাপ্ত পটকা, সার্চ লাইট দিতে হবে।