সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পিয়াসির বাড়ি রামপুরহাট শহরের শ্রীফলায়। বাবা পার্থ বিশ্বাস পেশায় একটি ফাইন্সাস কোম্পানিতে চাকুরিরত। মা সংযুক্তাদেবী প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষিকা। ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নাচে ঝোঁক রয়েছে তাঁদের একমাত্র সন্তান পিয়াসির। এর আগেও অনেক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে পিয়াসি। ২০১৫সালে বর্ধমানে ভারত সংস্কৃতি উৎসবে জাতীয়স্তরের নৃত্য প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল। চলতি বছরের ১০-১৫মে পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পুনেতেও অখিল লোকোকলা কালচারালের উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাসিক্যাল ও সেমি ক্লাসিক্যাল দু’টি বিভাগের নৃত্যেও সে প্রথম স্থান দখল করেছিল। এরপরই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্ডিয়ান কালচারালের উপরে অখিল লোকোকলা কালচারালের আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায়। ৫নভেম্বর সেই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২৩টি রাজ্য থেকে আসা ২৫০জন প্রতিযোগী বিভিন্ন বিভাগের নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পিয়াসি ক্লাসিক্যাল নৃত্যে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেয়। একইভাবে সেমি ক্লাসিক্যাল বিভাগে সিলভার মেডেল জয় করে। স্বভাবতই পরিবার তো বটেই, এলাকায় বইছে এখন খুশির হাওয়া। শনিবার রাতে তাঁরা রামপুরহাটে ফিরে এসেছেন। পার্থবাবু এবং সংযুক্তাদেবী জানান, ছোট থেকেই বরাবর ওর নাচের দিকে ঝোঁক। সেই ঝোঁকের জন্যই ওর নাচ নিয়ে পড়াশোনা। কিন্তু, সে বিদেশের মাটিতে প্রথম হবে তা আশা করিনি। তিনি বলেন, ছ’বছর ধরে কলকাতার উত্তরপাড়া নিয়ে যাওয়া-আসা করে মেয়েকে নাচ শিখিয়ে আসছি। মেয়েকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে পৌঁছতে পারব স্বপ্নেও ভাবিনি। যদিও মেয়ের চেষ্টা ছিল। তার এই সাফল্যে গর্ব অনুভব করছি।
এলাকার মেয়ের এমন সাফল্যে রীতিমতো গর্বিত স্থানীয় বাসিন্দারাও। এলাকার বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে পিয়াসি আমাকে প্রণাম করতে এসেছিল। সেই সময় তাকে শুধু আশীর্বাদ নয়, ওর সার্থকতা কামনা করেছিলাম। রামপুরহাটের মতো ছোট্ট শহরের মেয়ে বিদেশে গিয়ে যেভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সোনার মেডেল ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে সেটা আমাদের কাছে গর্ব ও একইসঙ্গে অহংকারের বিষয়। ওকে আমরা সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পিয়াসি বলে, সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। বাবা, মা এবং নৃত্যগুরুদের জন্য এমনটা সম্ভব হয়েছে। স্টেজটা এতটাই ভালো ছিল যে এখনও চোখে ভাসছে। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিযোগীরা কত্থক ও ভারতনাট্টমের উপরে নাচ করেছে। খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে ক্লাসিক্যাল নৃত্যে প্রথম হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
স্কুলের টিচার ইনচার্জ মল্লিকা হালদার বলেন, পিয়াসি স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ও শুধু নাচে নয়, পড়াশোনাতেও ভালো। তবে, নাচেই ওর বেশি ঝোঁক। আশীর্বাদ করি ও আরও ভালো জায়গায় পৌঁছক।