সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এদিন বর্ধমান শহরের রাস্তায় দুপুরের পর থেকেই লোকজন কমতে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকলেও তারপর কালনায় ভাগীরথী নদীর ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কালনা ফেরিঘাটের উভয়দিকে শান্তিপুর ও কালনার অংশে প্রচুর যাত্রীর আটকে পড়েন। ফেরিঘাটগুলিতে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। কালনার দিকে আটকে যাওয়া যাত্রীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কালনা পুরসভা।
কালনা মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কতার জন্য সমস্ত ফেরিঘাটকে বেলা ১২টার পর যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবেলা টিমকে তৈরি রাখা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ফেরিঘাটে আটকে থাকা যাত্রীদের জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।
অন্যদিকে, কাটোয়া ও দাঁইহাটেও ভাগীরথীর সমস্ত ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় কাটোয়া মহকুমা পুলিস-প্রশাসন। প্রতিটি ফেরিঘাটে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের নির্দেশের কথা জানিয়ে সতর্ক করা হয়। এদিন কাটোয়ার শাঁখাই, বল্লভপাড়া, দাঁইহাটের দেওয়ানগঞ্জ ফেরিঘাটগুলিতে দুপুরের পর ফেরি চলাচল বন্ধ যায়। পাশাপাশি যে কোনও পরিস্থিতির জন্য কাটোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে।
মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেন, যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আমরা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবার তা চালু হবে।
এদিকে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুলবুলের পূর্বাভাস পেয়ে জেলাজুড়ে তৎপরতা দেখা গিয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ব্লক প্রশাসনকে বাড়তি ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক সুধীনপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সিভিল ডিফেন্স টিমকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইভাবে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে ও আসানসোলের মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।