সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
রায়দিঘি বিধানসভার অধীন মথুরাপুর-২ ব্লক। ব্লকের ১১ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে নগেন্দ্রপুর, কঙ্কণদিঘি, কুমরোপাড়া, নন্দকুমারপুর, দিঘিরপাড়, বকুলতলা, রায়দিঘি সহ রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘর বাড়ি ভেঙেছে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এই প্রসঙ্গে মথুরাপুর-২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও অভিষেক ভট্টাচার্য বলেন, ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে নগেন্দ্রপুর, কঙ্কণদিঘি, নন্দকুমারপুর, কুমরোপাড়া,রায়দিঘি, রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েত এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬০০টি বৈদ্যুতিক পোস্ট ভেঙে পড়েছে। ১ হাজার ৪১০টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ৩ হাজার ৩০০ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইসব বাড়িতে হয় গাছের ডাল পড়েছে অথবা ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি অন্য এলাকাও কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫টি ফ্লাড সেন্টারে দুর্গত মানুষদের নিয়ে গিয়ে তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৫৮টি অস্থায়ী সেন্টার করা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণের কাজ করেন।
এদিকে রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে বুলবুলের বিপর্যয়ের পর এলাকায় দেখা পাওয়া যায়নি বলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তবে প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সারাদিনই এলাকায় ছিলেন। শনিবার রাত থেকে রবিবার সারাদিন দুর্গত মানুষদের পাশে ছিলেন তিনি। নিজের উদ্যোগে ২০০ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আনার পাশাপাশি নিজেই এলাকায় ৬০০ মানুষের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছেন। তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বাপুলিও গিলার ছাট, বৈদ্যপাড়ায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করেন ও দুর্গত বাসিন্দাদের হাতে ত্রিপল,কম্বল তুলে দেন। এদিকে রবিবার দুপুরের দিকে নন্দকুমারপুরে নদীবাঁধে ধস নামার খবর পেয়েই দ্রুত তা মেরামতের নির্দেশ দেন জয়েন্ট বিডিও। নদীবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারা আতঙ্কে অনেকেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। এদিকে রায়দিঘি রোডে কোম্পানির ঠেক সংলগ্ন এলাকায় রবিবার সকালে একটি গাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ায় রায়দিঘি রোড অবরুদ্ধ হয়ে যায়। রায়দিঘির ময়রামহলে বাসিন্দা প্রদীপ হালদারের ঘরে গাছ পড়ে তিনি নিজে ও তাঁর মেয়ে আহত হয়। তাঁদের রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মথুরাপুর ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবেশ মণ্ডল বলেন, বুলবুলের জেরে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ভেঙে পড়ায় অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। সমাধানে বারুইপুরের বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করা হয়েছে।