সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহরে মশার দাপটে শহরবাসী নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। দুর্গাপুজোর পর থেকে শহরে মশার দাপট বেড়ে গিয়েছে। ফলে বাসিন্দারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। তবে রায়গঞ্জ শহরে মশার দাপট কমাতে পুরসভা থেকে কিছু কিছু এলাকায় ফগিং মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে। তাতেও মশা কমছে না। একই সঙ্গে শহরের ঘরে ঘরে জ্বর দেখা দিচ্ছে। এনিয়ে বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে রায়গঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, সপ্তাহে অন্তত দু’দিন কোথাও জমা জল থাকলে সেটা ফেলে দিতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এনিয়ে সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। আক্রান্তরা চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সপ্তাহ খানেক আগেও অজানা জ্বরে আক্রান্ত দুজন রোগীর রায়গঞ্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল। জ্বরে পরপর মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন মৃত নরেশ কর্মকারের ছেলে স্বপন কর্মকার বলেন, বাবার পাইলসের সমস্যা ছিল। সেই চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তি করি। শনিবার বাবার জ্বর আসে, ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। জ্বরটা নেমে গিয়েছিল। রবিবার সকালে ফের জ্বর আসে, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয়। রায়গঞ্জ শহরের চণ্ডীতলার বাসিন্দা অজয় কর্মকার বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। মৃতের ভাই বিজয় কর্মকার বলেন, দাদার কিডনির সমস্যা ছিল। কিন্তু কদিন ধরে জ্বর আসছিল। রবিবার সকালে খাবার খাওয়ানোর সময় জ্বর ও বমি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাদার মৃত্যু হয়। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এবছর দেরিতে বর্ষা আসায় জ্বরের প্রকোপ অনেক পরে দেখা দিয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাল ফিভার হচ্ছে। শীতকালে জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকার কথা নয়। পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন।