সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা এদিন ঘুরে দেখেছি। খুব একটা ক্ষতি হবে না। কারণ শুক্র ও শনিবার দু’দিনই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম ছিল। অধিকাংশ জায়গায় জমির একাংশের ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। ধানের গাছ নুয়ে পড়লে বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ বাড়বে। তবে গতবারে বৃষ্টির অভাবে আমনের ক্ষতি হয়েছিল। এবার বৃষ্টির জেরে কতটা ক্ষতি হল তা মহকুমার এডিএরা ঘুরে রিপোর্ট দেবেন।
এদিন কাটোয়া মহকুমার পাঁচ ব্লকে ঘুরে দেখা দিয়েছে, বেশ কয়েক জায়গায় পাকা আমন ধানের জমিতে জল জমে গিয়েছে। ধানের গাছ একেবারে নুয়ে পড়েছে। কেতুগ্রাম-২ ব্লকের গঙ্গাটিকুরি, উদ্ধারণপুর, মুরুন্দি, মঙ্গলকোট, কাটোয়া-১ ও ২ ব্লকের বেশ কিছু জমিতে আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কেতুগ্রাম-২ ব্লকের চাষি গৌড় লাহা, সুমন্ত লাহা, রতন সরকার বলেন, আর দিন দশেকের মধ্যেই ধান কাটা হবে বলে স্থির করেছিলাম। কিন্তু জমিতে যেভাবে জল দাঁড়িয়েছে, তাতে ফলন কতটা পাব বুঝতে পারছি না। মঙ্গলকোটের চাষি উদয় দাস, মকবুল শেখ বলেন, ঝোড়ো হাওয়া যেভাবে বয়েছে, তাতে গাছ নুয়ে পড়েছে। কীভাবে কেটে ঘরে তুলব বুঝতে পারছি না।
এদিকে ২০১৮ সালে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব এবং বিকল্প সেচের ব্যবস্থা না হওয়ায় কাটোয়া মহকুমা জুড়ে আমন ধান চাষে প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলকোটে চাণক সহ বেশকিছু জায়গায় গোরুকে দিয়ে জলের অভাবে শুকিয়ে যাওয়া ধান খাইয়ে দিতেও দেখা গিয়েছিল। কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকে কৃষি দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ১২ হাজার ১৫০ হেক্টর কৃষি জমিতে আমন ধান সেচের অভাবে নষ্ট হয়। কিন্তু এবছর অসময়ে টানা দু’দিন বৃষ্টির জেরে মহকুমার বেশ কয়েক জায়গায় আমনের জমিতে জল জমে গিয়েছে।