সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
তিনি বলেন, কবিতার মাধ্যমে অনেক মানুষকে সচেতন করা যায়। সেকারণে সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয়ের বিষয়গুলিই কবিতায় তুলে ধরি। দোকানে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা আসেন। তাঁরা তা মন দিয়ে শোনেন। এখন প্রতিটি পরিবার ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। নাতি, নাতনিরা দাদু বা দিদিমার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আলাদা থাকতে থাকতে থাকতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে অন্যরকম এক মানসিকতা তৈরি হয়। সেসবই আমি কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরি। যদি তাতে কিছু কাজ হয়।
গোরাচাঁদবাবুর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। সংসার চালাতে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। সারারাত জেগে নিরাপত্তারক্ষীর কাজের পর সকালে দোকান খোলেন। দোকান বলতে ছোট একটি গুমটি। সেখানেই উনুন জ্বালিয়ে নিজেই ডালপুরি, রুটি তৈরি করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন। কবিতার দৌলতে তাঁর দোকান এলাকার সকলের কাছেই পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর থেকেই তিনি কবিতা লিখছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করার সময় সুযোগ পেলেই কবিতা লিখতে শুরু করি। সুযোগ পেলেই তা পড়ে শোনাই। আমাকে যাঁরা চেনেন তাঁরা প্রত্যেকেই দেখা হলেই কবিতা শোনানোর জন্য আবদার করেন। এখন সমাজ অন্য পথে চালিত হচ্ছে। হিংসা হানাহানি বেড়ে চলছে। কবিতার মাধ্যমে যদি কোনও বার্তা দিতে পারি সেই আশাতেই এই কাজ করে চলছি। আমার ইচ্ছা রয়েছে কবিতার একটি বই প্রকাশ করার। সমাজের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৫০টি’র বেশি কবিতা লিখেছি। হাতে বাড়তি সময় থাকলে আরও বেশি লেখায় মনোযোগ দিতে পারতাম। কিন্তু, দোকান না খুললে সংসার চলবে না। ৩৫বছর ধরে রুটি, ডালপুরি বিক্রি করছি।
তাঁর দোকানের সামনে রুটি খেতে খেতে একমনে কবিতা শুনছিলেন এক যুবক। তিনি বলেন, দোকানে এসে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হয়। পাড়ার কার কী হল এসব নিয়ে সবাই গল্পে মশগুল থাকেন। কিন্তু, গোরাচাঁদবাবুর কাছে কিছুটা সময় ব্যয় করলে ভালো কোনও বার্তা পাওয়া যায়।