সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এদিন তাঁর শহরে দু’টি সভা করার কথা। জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, শুভেন্দুবাবুর প্রকাশ্য সভা করার কথা আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে হল খোঁজা হচ্ছে। প্রকাশ্যে সভা করা না গেলে তিনি হলে সভা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রার্থী নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ যে রয়েছে, তা সমিতবাবু তাঁর বক্তব্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। এদিনের কর্মিসভায় তিনি বলেন, দলের কিছু কার্যকর্তা ও সাধারণ ভোটারের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল এদিন সকালে আদালতের রায় বেরনোর পর তা মিটে গিয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র প্রেমচাঁদ ঝার জয় নিশ্চিত করে দিয়েছেন। একটা সংসারে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তৃণমূল, প্রশাসন শুনে রাখুন, এই সুযোগে অন্য কেউ এসে চোখ রাঙালে আমরা তার হাত ভেঙে দেব।
সঞ্জয়বাবু বলেন, এই আসনে জেতার জন্য রামমন্দিরকে আমাদের ভোটের ইস্যু করতে হবে না। দিলীপবাবুর এই আসনে আমাদের জয় নিশ্চিত। আমরা উন্নয়নকে ইস্যু করব। রাম মদির যে আমাদের ইস্যু, তা সারা দেশের মানুষ জানে। এটা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।
আদালতের রায় অবাঙালি অধ্যুষিত এই রেল শহরে কতটা প্রভাব ফেলে তার খোঁজ নিতে অবশ্য তৃণমূল নেতারাও রাস্তায় নেমেছেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরী বলেন, এখনই সেরকম কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আমরাও মানুষের সঙ্গে কথা বলব। তবে এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার প্রচারে বের হন। ছাতা মাথায় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেক জায়গায় বৃষ্টিতে ভিজেই তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়।
প্রদীপবাবুর শিক্ষাগুরু কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডলও এদিন বৃষ্টি মাথায় করেই প্রচার করেন। সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস ঘোষ। কংগ্রেস প্রার্থী বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রচার করেন। তবে বিজেপি প্রার্থীকে এদিন অবশ্য সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি। কর্মিসভায় আসার আগে বৃষ্টি কমতে একটি এলাকয় তাঁকে জনসংযোগ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সকাল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বের হওয়া যায়নি।