সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই নম্বর হল ৯০৭৩৯৩৯৮০৪। রামনগর-১ ব্লকের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৯০৭৩৯৩৯৮১৯। এদিন দীঘা-শঙ্কপুর উন্নয়ন সংস্থার অফিসে পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। দীঘা উপকুলবর্তী বেশকিছু মানুষকে ফ্লাড শেল্টারগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সবপ্রান্তের বাসিন্দাদের সাহায্য করার জন্য টোল-ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। ওই নম্বরটি হল ১০৭৭। এছাড়া জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তার নম্বর হল ০৩ ২২২ ২৭৫৮৯৪। এছাড়া স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, খাদ্য, আগুন, জনস্বাস্থ্য সহ জরুরি দপ্তরগুলির ফোন নম্বর দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলায় কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩২২১- ২৫৮২২৮।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বলেন, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) প্রতিমা দাস বলেন, এদিন জেলায় ৩৫৯ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া বাড়ি নিরাপদ নয়, এমন পরিবারের লোকজনকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খড়গপুর মহকুমার মোহনপুরে ২০০ জনকে সরিয়ে ১২টি স্কুলে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘাটাল মহকুমায় ৬৭টি পরিবারের ১৫৯ জনকে ১৩টি স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে। সব ব্লককে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, জেলার বিনপুর-১ ব্লকে তিনটি মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। পরিবারের লোকজনকে একটি স্কুলে রাখা হয়েছে। তাঁদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার সব ব্লকেই মাইকিং করে এলাকার মানুষকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
বুলবুলের খবরে পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক চাষি সময়ের আগেই ধান কেটে নিয়েছেন। কিন্তু, এখনও জেলার সর্বত্রই এখনও জমির ধান ও সব্জি রয়েছে। বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার কারণে সব্জি, ফুল আর ধান চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন চাষিরা। এদিন মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বর কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী নেই বললেই চলে। কেশপুর, কেশিয়াড়ি, ঝাড়গ্রাম, ধেরুয়া সহ এই জেলায় ১০০টি রুট রয়েছে। ওইসব রুটে চারশোর কাছাকাছি বাস রয়েছে। কিন্তু, এদিন সকাল থেকে বুলবুল ধেয়ে আশার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়নি বললেই চলে। বহু রুটে খুব কম বাস চলাচল করেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, এদিন বাসে চার-পাঁচজনের বেশি যাত্রী ছিল না। ফলে, প্রায় ২০০টি বাস প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন রুটে এবং ঝাড়গ্রাম, লালগড়, ধেরুয়া সহ একাধিক রুটে এদিন খুব কম বাস চলাচল করেছে।