সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে বুলবুল আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তার জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এদিন জেলার সমস্ত ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তার জেরে স্থানীয়রা নাকাল হয়েছেন। অনেকেই ফেরি বন্ধের খবর আগে থেকে জানতেন না। তাঁরা ঘাটে এসে ফিরে যান। যাত্রীদের ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। যাত্রীরা বলেন, সকাল থেকে ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধের কোনও যুক্তি ছিল না। নদী পেরিয়ে এই জেলার বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁরা এদিন দুর্ভোগে পড়েন। বুলবুলের আশঙ্কায় সমস্ত স্কুলও ছুটি দেওয়া হয়। জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মীনা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুলবুল নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন চাষিরা। তাঁরা বলেন, ইতিমধ্যে দু’বার সব্জি গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। টাকা খরচ করে অনেকেই আবার গাছ রোপণ করেছিলেন। সেগুলিও এই বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জেলার কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু বলেন, জল জমলে গোড়া পচা রোগ দেখা দেবে। তাই চাষিদের যত দ্রুত সম্ভব জমি থেকে জল বের করে দিতে হবে। ধানজমির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নিতে হবে।
চাষিরা আরও বলেন, এবারও গাছ নষ্ট হয়ে গেলে সমস্ত সব্জির দাম আরও বেড়ে যাবে। বাজারে সব্জি জোগানও দেওয়া যাবে না। কাশিমবাজারে সব্জি নিয়ে এসেছিলেন নারায়ণ দে। তিনি বলেন, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার জন্য সমস্ত চাষিই বড় ধাক্কা খেয়ে গেল। এই সময় সব্জি বিক্রি করে কিছু টাকা আয় হয়। এবার সেটাও ঠিকমতো হবে না। জলের অভাবে পাট চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতিবৃষ্টিতে ধান চাষও মার খেয়ে গেলে চাষিরা যাবে কোথায়। শনিবারের বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু রবিবার বৃষ্টি নামলে চাষিদের মাথা ঠুকতে হবে। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলবুলের দাপটে রবিশস্যের চাষও কিছুটা পিছিয়ে যাবে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন বিকেল পর্যন্ত কোথাও তেমন ক্ষতি হয়নি। অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ঘাটগুলিতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।