সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলকোট থানার বামুনআড়া গ্রামে বছর আঠাশের ওই গৃহবধূর বাড়ি। কর্মসূত্রে গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে সুশান্তর পরিচয় হয়। পরে তা গভীর হয়। গৃহবধূর বাড়িতে যাতায়াত ছিল সুশান্ত ও তার স্ত্রীর। গত ২২ মার্চ গৃহবধূকে বর্ধমানে সিনেমা দেখার প্রস্তাব দেয় সুশান্ত। তার স্ত্রীও সিনেমা দেখতে আসবে বলায় প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওই গৃহবধূ। ঘটনার দিন বেলা ২টো নাগাদ তিনি বর্ধমানে আসেন। শহরের জেলখানা মোড়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখে তিনজন মিলে। সিনেমা দেখার পর তারা কেনাকাটা সারে। এরপর খাওয়া-দাওয়ার পর সুশান্ত গৃহবধূকে হজমের বলে একটি ওষুধ খেতে দেয়। ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর গৃহবধূ অস্বস্তি অনুভব করেন। তিনি বর্ধমান স্টেশনে যান। তাঁর সঙ্গে সুশান্ত ও তার স্ত্রীও যায়। তারা স্টেশনের ওয়েটিং রুমে বিশ্রাম নেয়। সংজ্ঞা ফেরার পর গৃহবধূ দেখেন তাঁকে গোয়ার একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সুশান্ত তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অচেনা লোকদের তাঁর ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। তাদের সঙ্গে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করা হতো তাঁকে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। বেশ কয়েকদিনের চেষ্টার পর তিনি সফল হন। গোয়া থেকে তিনি কোনও রকমে বর্ধমানে ফিরে আসেন। ভাতারের বলগনায় বাপের বাড়িতে ওঠেন তিনি। ঘটনার কথা তিনি বোলপুর, বর্ধমান মহিলা থানায় জানান। থানা ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি সিজেএম আদালতে মামলা করেন। কেস রুজু করে তদন্তের জন্য মহিলা থানার আইসিকে নির্দেশ দেয় আদালত। গৃহবধূর অভিযোগ, স্ত্রীকে সামনে রেখে এভাবে বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছে সুশান্ত। মেয়েদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে সে।