কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এমনিতেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে চলতি মাসের প্রথম থেকেই জেলাজুড়ে জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অভাব-অভিযোগ শুনছেন। অনেকে আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখেও পড়ছেন। তবে, রাজ্য নেতৃত্বের এই নির্দেশে নিচুতলায় তৃণমূল কর্মীরা অনেক সচল হয়েছেন। সাধারণ মানুষও জনপ্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে নানা অভিযোগ জানাতে পারছেন। এতে দলের কর্মীরা চাঙ্গা হতে শুরু করেছেন। এবার স্বাধীনতা দিবসেই রাখীপূর্ণিমা পড়েছে। ফলে, এই দিনটিকেও এবার শাসক দল জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। ব্লকের বিভিন্ন জনবহুল এলাকাকে বেছে নিয়ে সেখানেই দলীয় নেতা কর্মীরা পথচলতি সাধারণ মানুষের হাতে রাখী বাঁধবেন।
এখন থেকে ব্লক নেতৃত্ব শয়ে শয়ে রাখী কেনা শুরু করে দিয়েছে। এই জেলায় ২১টি ব্লক, ৭টি পুরসভা এলাকা রয়েছে। প্রতিটি এলাকায় দু’-তিন হাজার সাধারণ মানুষকে রাখী পরানোর লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি মানুষকে রাখী পড়ানো হবে। যেমন কেশপুর ব্লক। লোকসভা নির্বাচনের পর এই ব্লকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা শাসক দলের বিরুদ্ধে দাপট দেখাতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবে এই এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে নিবিড় সংযোগ গড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাই জেলা থেকে তিন হাজার রাখী পরানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও ব্লক নেতৃত্বের দাবি, তার অনেক বেশি মানুষকে রাখী পড়ানো হবে।
কেশপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, এই ব্লকে ১৬টি জায়গায় আমরা ক্যাম্প করে রাখী উৎসব পালন করব। প্রায় ১০ হাজার সাধারণ মানুষের হাতে রাখী পরানো হবে। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, মেদিনীপুর শহরে আমরা ৫০০০ মানুষের হাতে রাখী পরাব বলে ঠিক করেছি। জেলায় এক লক্ষ সাধারণ মানুষকে দলীয় কর্মীরা রাখী পরানোর মাধ্যমে জনসংযোগ সারবেন। পাশাপাশি রাখী পরানোর পর সকলকে ‘দিদিকে বলো’ কার্ড দেওয়া হবে। দলীয় প্রতীক, দলনেত্রীর ছবি সহ রাখী পরানো হবে। সব ব্লক নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজের নিজের উদ্যোগে তারা এই কর্মসূচি গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, এমনিতেই আমরা রাখী উৎসব পালন করি। এবার স্বাধীনতা দিবসে রাখী উৎসব হওয়ায় আমরা এই কর্মসূচিকে আরও গুরুত্ব দিচ্ছি।