কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা এলাকার দাপুটে নেতা জাহাঙ্গির শেখ দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন। কান্দি থানার গোঁসাইডোব গ্রামের বাসিন্দা ওই তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গুলি করে খুন করা হয়। এলাকার তাঁর প্রভাব ছিল। তিনি খুন হওয়ার পর এলাকায় কিছুটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এরপরেই শনিবার রাতে খড়গ্রাম থানার বালিয়াহাট গ্রামের তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি মাইনুল শেখকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনিও একসময় সিপিএমের দাপুটে নেতা ছিলেন।
এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের পর পরেই প্রকাশ্যে খুন হন বড়ঞা থানা এলাকার ডাকবাংলা গ্রামের দাপুটে নেতা রবু শেখ। বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনেই বোমা মেরে খুন করা হয়। এরপর খুন হন কান্দি থানার রুদ্রবাটি গ্রামের তৃণমূল নেতা গৌরাঙ্গ মণ্ডল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করে। কান্দি মহকুমা এলাকায় ওই সকল খুনের ঘটনায় সম্প্রতি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রতিটি খুনের পিছনেই কংগ্রেসের দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক খুন ও আক্রমণের ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব আতঙ্কিত। তাই নেতাদের সতর্ক হতে বলেছে মহকুমা তৃণমূল। প্রভাবশালী নেতাদের রাতে বাড়ির বাইরে একা বেরতে বারণ করা হয়েছে। অপরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতেও নিষেধ করা হয়েছে। এমনকী, রাতের দিকে অপরিচিত কেউ নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। দলীয় বা ব্যক্তিগত কাজে একা নয়, সঙ্গীদের নিয়ে বেরতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি গ্রামের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালী নেতাদের যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের নেতারা কোনও অশনি সংকেত পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ব্লক নেতৃত্ব এবং মহকুমা নেতৃত্বকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, পরপর খুনের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। গ্রামাঞ্চলে আমাদের সোর্সদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কিছু জানতে পারলে পুলিস ও আমাদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বড়ঞা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম বলেন, দুষ্কৃতীদের দাপট বেড়ে গিয়েছে। তাই নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ানোই কঠিন। মহকুমা তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায় বলেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের ঘটনায় দলের নেতৃত্ব আতঙ্কিত। আমরা নেতৃত্বকে সর্তক হতে বলেছি।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, উন্নয়নের সামনে টিকতে না পেরে কংগ্রেস সন্ত্রাসের রাস্তায় হাঁটছে। জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে অল্প দিনে টাকাপয়সা রোজগার করে অনেকে মানুষের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। খুনগুলির পিছনে ব্যবসায়িক বা পারিবারিক অথবা পুরনো শত্রুতা রয়েছে। রাজনৈতিক খুন নয়। এব্যাপারে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, রাজ্যের নেত্রীর দলের নেতাদের প্রতি ভরসা নেই। প্রশান্ত কিশোরের কথায় চলছেন। কংগ্রেস কোনও খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। সেটা পুলিস নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই পেয়ে যাবে।