সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
গণেশ পুজো ও বিশ্বকর্মা পুজো শেষ। মাত্র আর ২০দিন পরই বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজো। তাই বাংলার রেশম ও তাঁতের শাড়ির একঝাক কালেকশন নিয়ে সেজে উঠেছে রাজ্য সরকারের তন্তুজের কাউন্টার। বৃহস্পতিবার কাউন্টিারের ম্যানেজার প্রণবকুমার সাহা বলেন, বিষ্ণুপুর ও মুর্শিদাবাদ সিল্ক, টাঙাইল, ধনেখালি, শান্তিপুর, ফুলিয়া, গঙ্গারামপুর প্রভৃতি এলাকার তাঁতের শাড়ি এখানে রয়েছে। দোকানে এসেই বিষ্ণুপুরের কাতান সিল্ক বা কলাক্ষেত্র, হ্যান্ডলুমে তৈরি ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি খুঁজছেন ক্রেতারা। কাজেই, এবার পুজোয় এই দুই শাড়িই বাজার মাত করবে বলে মনে হচ্ছে।
ওই দুই শাড়ির বিশেষত্ব কী? বেশ কিছু শাড়ি দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দোকানের সেলসম্যানরা বলেন, বিষ্ণপুরের কাতান সিল্কের শাড়ির গোটা অংশে ও আঁচল থাকছে পশু, পাখি ও ফুলের নকশা। যা সুতো দিয়ে তৈরি। এটা সুতোটিচ হিসেবে পরিচিত। এধরনের সিল্কের শাড়ির দাম সাড়ে পাঁচহাজার থেকে ছ’হাজার টাকার মধ্যে। আর ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ির আঁচল ও পাড়ে থাকছে বিভিন্ন রামায়ন ও মহাভারতের কাহিনি। কিংবা গাছ, হরিণ ও নর্তকীর নিখুত নকশা। গোটা শাড়ি জুড়ে থাকছে বুটিক। এগুলির দাম সাতশো থেকে চার হাজার টাকা।
এছাড়া, মুর্শিদাবাদের তসর প্রিন্ট শাড়ির চাহিদাও রয়েছে। এই শাড়ির শরীরে ও আঁচলে গাছ, পাতা, ফুল প্রভৃতি প্রিন্ট করা থাকছে। বিষ্ণুপুরের বালুচুড়ি, স্বর্ণচুরি, টাঙাইল, ধনেখালি, শান্তিপুরের শাড়ি, ম্যারেট সিল্ক প্রভৃতির খোঁজ করছেন ক্রেতারা। সংশ্লিষ্ট শাড়িগুলির সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছে গামছা প্রিন্টের সুতির শাড়ি। মূলত দৈনিক ব্যবহারের জন্যই এই শাড়ি মহিলারা সংগ্রহ করেন। এগুলির দাম ২৫২ টাকা।
একই সঙ্গে পুজোর ব্যবসার টেক্কা দিতে বিশেষ ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছে তন্তুজ। দোকানের ম্যানেজার বলেন, বাজারে ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে। দোকান প্রতিদিনই মহিলারা আসছেন। কিন্তু, গত বছরের মতো এখনও ব্যবসা জমে ওঠেনি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যবসা জমবে বলেই আশা করছি। তবে, অন্যান্য বারের মতো এবারও এই কাউন্টার থেকে কেনাকাটার উপর ছাড় দেওয়া হচ্ছে।