সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
জানা গিয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দোষীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা দুই নাবালিকার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও দু’বছর কারাদণ্ড হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন মালদহের এডিজে (অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ) সেকেন্ড কোর্টের বিচারক (স্পেশ্যাল পকসো কোর্ট) রাজীব সাহা।
মালদহ জেলা আদালতের পকসো কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অসিত বসু জানান, মালদহের একটি হোমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ৭ যুবকের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ইংলিশবাজার মহিলা থানায় ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি দায়ের করা হয়। যেখানে মূল অভিযুক্ত রাম সরকার সহ আরও ছয় যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বাকি ছয় যুবক এই মামলায় খালাস হলেও রাম সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, হোম কর্তৃপক্ষের তরফে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে মহিলা থানা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সে ওই দুই নাবালিকাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে। এই নৃশংস কাজে রাম সরকারকে সহযোগিতা করে বাকি ছয় যুবক।
এই মামলায় হোম কর্তৃপক্ষ সহ মোট ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যাঁরা প্রত্যেকেই রাম সরকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেন। তাই বাকি ছয় যুবক খালাস পেয়ে যায়। দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার রাম সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে এডিজে সেকেন্ড কোর্ট। এদিন তার সাজা ঘোষণা করে আদালত।
পুলিস সূত্রে খবর, রাম সরকার সহ ওই সাত যুবকের একটি গ্যাং ছিল। যারা বছর পনেরোর দুই নাবালিকাকে মডেলিং ও অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। নির্যাতিতা দুই নাবালিকাই ইংলিশবাজারের বাসিন্দা। চারবছর আগে একদিন দুই নাবালিকাকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সাত যুবক তাদের একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মদের আসর বসায়। এবং দুই নাবালিকাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে। ইংলিশবাজার থানার পুলিস এই ঘটনার খবর জানতে পেরে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠায়। হোমে যাওয়ার পরই হোম সুপারিন্টেন্ডেন্ট দুই নাবালিকার মুখ থেকে সমস্ত অভিযোগ শোনেন। এরপর তিনি ইংলিশবাজার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস পকসো মামলা রুজু করে।