আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে ৬০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন কৃষ্ণ। ইসলামপুর ছাড়া বাকি সব বিধানসভা কেন্দ্রেই কয়েক হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র রায়গঞ্জেও ৫৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপি। ফের একবার উপ নির্বাচনে পরীক্ষায় কৃষ্ণ।
তিনি বলেন, ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিন আমাকে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, কৃষ্ণ তুমি হতাশ হবে না। আমি জানি তুমি মানুষের জন্য কাজ করেছ। তুমি আবার সবার কাছে গিয়ে তাঁদের বোঝাবে এবং উপ নির্বাচনে জিতে আমার কাছে আসবে। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তৃণমূল প্রার্থী পৌঁছে যান রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর বাজারে। সেখানে তিনি বাজার করতে আসা প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে শোনেন অভাব, অভিযোগ। ক্রেতাদের পাশাপাশি দোকানদারদের সঙ্গেও জনসংযোগ করেন কৃষ্ণ। তাঁর এদিনের কর্মসূচিতে আগাগোড়াই পাশে ছিলেন পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস সহ ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা। জনসংযোগ সেরে কিছুক্ষণের জন্য নিজের অফিসে আসেন কৃষ্ণ। জরুরি কিছু কাজ করেই চলে যান দলীয় কর্মসূচিতে। ৮ নম্বর বাহিন অঞ্চলের মহারাজপুর চান্দাহারের শতাধিক মানুষ এদিন কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত থেকে জোড়াফুলের পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিকেলে তিনি যান রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কমলাবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিশন মোড়ে। সেখানে কারিটাস চার্চের সভাকক্ষে দলীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে সভা করেন কৃষ্ণ। সেখানে কৃষ্ণ বলেন, গত তিন বছর বিধায়ক হিসেবে ২৪ ঘণ্টা মানুষের জন্য কাজ করেছি। সবাইকে পরিষেবা দিয়েছি। তা সত্ত্বেও ফেল করে ফের পরীক্ষায় বসেছি।
লোকসভায় হারের পর অন্তর্ঘাত, দলবিরোধী কার্যকলাপ, একলা চলো নীতির মতো বেশকিছু অভিযোগ উঠছিল। সেসব ভুলে নতুন করে ঝাঁপাচ্ছেন কৃষ্ণ। বিজেপির হাত ধরে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন কৃষ্ণ। সেইবছর রায়গঞ্জের বিধায়ক নির্বাচিত হন এবং পরে তৃণমূলে যোগ দেন। দলে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসার পর তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী করা হয় কৃষ্ণকে।