ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পিএইচই’র পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছেছে। কিন্তু তাঁদের জলের জন্য ভুটানের পাহাড়ের ঝোরার উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। সেখান থেকে পাইপ দিয়ে জল এনে সেই জলই তাঁরা খাচ্ছেন। অপরিস্রুত জল খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের পেটের রোগ লেগেই থাকছে।
শুধু বাসিন্দারা নন, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিদূর ছেত্রীর অভিযোগ, পিএইচই অত্যন্ত ধীরগতিতে কাজ করছে। সেকারণে তিন বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ হল না। এটা দেখা উচিত প্রশাসনকে। যদিও জলপাইগুড়ি জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অশোক দাস বলেন, কাঁঠালগুড়ি চা বাগানের কাজ প্রায় শেষের পথে। পাইপ লাইনের কাজ অল্প কিছু বাকি। তা শেষ করে কিছুদিনের মধ্যে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিতা রবিদাস বলেন, আমাদের আপার লাইনে পিএইচই থেকে কোনও জল আসে না। বাধ্য হয়ে ভুটানের জল খাচ্ছি আমরা। তাছাড়া বাড়ির অন্যান্য কাজের জন্য ভরসা ভুটানের ঝোরার জল। এলাকার আরএক বাসিন্দা পিঙ্কি রবিদাস বলেন, চা বাগানের দেওয়া জল আমাদের শ্রমিক লাইনগুলিতে আসে না। পিএইচই সম্প্রতি পাইপ লাইন বসালেও জল নেই, বাধ্য হয়ে আমরা খাওয়ার জন্য ও বাড়ির কাজের জন্য ভুটান থেকে নেমে আসা ঝোরার জল ব্যবহার করছি। এ বিষয়ে চামুর্চি পঞ্চায়েতের প্রধান সঙ্গীতা কামি জানান, চারটি পাম্প হাউস তৈরি করা হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পিএইচই ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জলাধার নির্মাণ করেছে। আশা করছি, শীঘ্রই কাঁঠালগুড়ি চা বাগানে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে।