ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
জেলা শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, জেলায় এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েদের ক্ষেত্রে পাশের হার ৭৫.৭১ শতাংশ ও ছেলেদের ক্ষেত্রে পাশের হার ৭৭.০৫ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে গতবারের থেকে এবার জেলায় পাশের হার বাড়লেও মেধাতালিকায় জায়গা হয়নি। ফলে চরম হতাশা নেমে এসেছে শিক্ষামহলে। মেধা তালিকায় কেন জায়গা হয়নি, তা নিয়েও এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে জেলার শিক্ষামহলের মধ্যে।
প্রায়ই নিয়ম করে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা করে নেয় ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুল। এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটল। এবিষয়ে ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিলচন্দ্র রায় বলেন, মাত্র চার নম্বরের জন্য আমাদের স্কুল এবার মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারল না। ফলে একটা আফশোস হচ্ছেই।
অনিলবাবু বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা। তাই এদিকে একটু নজর দেওয়া দরকার অভিভাবকদের। পড়ুয়াদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হওয়াটাও এবার মাধ্যমিকে জেলার ফল খারাপ হওয়ার পিছনে একটি অন্যতম কারণ।
জেলা শহরের আর একটি নামী স্কুল আলিপুরদুয়ার হাইস্কুল। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু দত্ত অবশ্য বলেন, প্রতি বছর একটা জেলা মেধাতালিকায় থাকবে বিষয়টা এমন নয়। জলপাইগুড়ি বা দার্জিলিং জেলাও তো এবার মেধাতালিকায় নেই। হয়ত আগামী বছর আমাদের জেলা মেধাতালিকায় থাকবে।
মেধাতালিকায় জায়গা না হওয়ার জন্য শিক্ষাদপ্তর আবার এই জেলার দুর্গমতার কারণকেও দায়ী করেছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশানুল করিম বলেন, আমাদের প্রান্তিক জেলা। চা বাগান, বনবস্তি, নদী পাহাড় ঘেরা এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা একটু দুর্গম। যোগাযোগের কারণেও জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধাক্কা খাচ্ছে। তবে গতবারের থেকে জেলায় পাশের হার এবার বেড়েছে।
তবে শিক্ষামহল যাই বলুক না কেন মেধাতালিকায় জেলার জায়গা না হওয়ার ঘটনা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। এই ব্যর্থতা ঢাকতে জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শৌভিক দে সরকার বলেন, কেন মেধাতালিকায় জেলার জায়গা হল না তার কারণ অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখছি।