সংবাদদাতা, মালদহ: মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার মেধা তালিকায় স্থান পেল না মালদহের প্রথম সারির স্কুলগুলির পড়ুয়ারা। স্বভাবতই বেশ খানিকটা হতাশা রয়েছে ওই স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের মধ্যে। তবে হাল ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। বরং এখন থেকেই আগামীর প্রস্তুতি শুরু করতে চান তাঁরা। একাধিকবার রাজ্যের মাধ্যমিক মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্ররা। কিন্তু এবার মেধা তালিকায় নেই এই স্কুলের কোনও ছাত্র। মাত্র এক বছর আগে এই বিদ্যালয় থেকেই মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছিল একসঙ্গে ১৩ জন ছাত্র। কিন্তু এবার সেই সাফল্যে ভাটা পড়ায় কিছুটা হলেও মন খারাপ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক থেকে অভিভাবকদের। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দজী মহারাজ বলেন, মেধা তালিকায় ঠাঁই না মিললেও মোটের ওপরে ফল সন্তোষজনক। বিদ্যালয়ের এক ছাত্র ৬৮৩ নম্বর পেয়েছে। দু’জন করে মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ৬৮২, ৬৮১ এবং ৬৮০ নম্বর পেয়েছে। ৯০ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়েছে ৫৭ জন পরীক্ষার্থী। মোট ১০২ জন ছাত্র এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক দিয়েছিল। তারা সকলেই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। মালদহের সেরা স্কুলগুলির মধ্যে মানিকচক শিক্ষা নিকেতন। এই বিদ্যালয়ও এবার নজর কাড়তে পারেনি। এবছর মোট ১৩৭জন ছাত্রছাত্রী মানিকচক শিক্ষা নিকেতন থেকে পরীক্ষা দেয়। স্কুলে এবং মানিকচক ব্লকের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে স্নেহা মণ্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৩। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৯ জন। স্টার মার্কস পেয়েছে ১৮ জন। তবে এবছর ইতিহাস পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের ফলে প্রভাব পড়েছে। বেশ কিছু পরীক্ষার্থী খাতা রিভিউ করবে বলে জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত প্রামাণিক। চাঁচল ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনও এবছর মাধ্যমিকের রাজ্য ভিত্তিক মেধা তালিকায় নেই। প্রধানশিক্ষক আসরারুল হক জানিয়েছেন, ২০৩ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। নয়জন পরীক্ষার্থী ৯০ শতাংশের ওপরে নম্বর পেয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে অঙ্কুশ মজুমদার (৬৬৯), দ্বিতীয় নিলয় সরকার (৬৬৭) এবং তৃতীয় মহম্মদ আশিক ইকবাল (৬৬৪)।