ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
উত্তর কলেজপাড়ার বাসিন্দা ভৌমি বলে, গবেষণার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে চাই। প্রত্যেক বিষয়ের জন্য গৃহশিক্ষক থাকলেও গণিত বাবার কাছেই পড়তাম। ভৌত বিজ্ঞান পড়তে ভালো লাগে। সাহিত্যের প্রতি টান থাকায় মন কাড়ত বাংলা। সময় পেলেই সাহিত্যের বইয়ের পাতা উল্টেপাল্টে নিতাম। এছাড়া গান গাইতে ভালো লাগে।
ভৌমির মায়ের কথায়, মেধা তালিকায় উত্তর দিনাজপুর থেকে একজন রয়েছে জানতে পেরে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেই একজনই যে আমার মেয়ে, সেটা জানার পর ভীষণ খুশি হয়েছি। যতটুকু সময় পেতাম, মেয়েকে সাহায্য করতাম। ভৌমি গবেষণা করতে চায়। আমরা সবরকম সাহায্য করব।
মেয়ে দশম হলেও ফল আর একটু ভালো হবে বলে আশা করেছিলেন বাবা।
তিনি বলেন, কোর্টে চাকরি করার পর যেটুকু সময় পেতাম, মেয়েকে পড়াতাম। ও যা করতে চাইবে, আমরা পাশে থাকব।
ভৌমির এই সাফল্যের পিছনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ঠাকুমা বেলা সরকারের। মা, বাবা চাকরির জন্য বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। সবসময় ঠাকুমাকে পাশে পেয়েছে ভৌমি। তার মেধা তালিকায় থাকা প্রসঙ্গে বেলা বলেন, কঠোর পরিশ্রমের ফলে এই রেজাল্ট। পড়তে পড়তে ক্লান্ত হলেই একটু ঘুমিয়ে আবার পড়াশোনা করত। সময়মতো উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলত। মোবাইলে আসক্ত ছিল না।
স্কুলের ছাত্রীর এই সাফল্যে গর্বিত রায়গঞ্জ গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা সরকার। তাঁর কথায়, ওর এই সাফল্যে ভীষণ খুশি সকলে। আরও ভাল রেজাল্ট হবে বলে আশা করেছিলাম। গবেষণা করতে চায় ভৌমি। আমাদের দেশে ভালো বিজ্ঞানীর প্রয়োজন রয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে ভৌমি। - নিজস্ব চিত্র।