ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, গতবছর অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় বৃষ্টিপাতের পর টানা ছ’মাস বৃষ্টি হয়নি ডুয়ার্সে। বৃষ্টির সেই খরা কাটে গত মাসে ২০ ও ২১ তারিখে এসে। ফলত ফার্স্ট ফ্লাশের চা উৎপাদনেও প্রভাব পড়ে। মার খায় চা পাতার স্বাদ ও মান। সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বুধবার বলেন, বর্তমানে আবহাওয়ার যা গতিপ্রকৃতি তাতে আগামী ১০ দিনে উত্তরের সমতলের জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে এক-দুই পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে অবশ্য চা বাগানের যে পরিমাণ জলের চাহিদা থাকে তা মিটবে বলে মনে হয় না।
শহর সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের আধিকারিক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রবল জলসঙ্কট চলছে। সঙ্গে গরম। যার ফলে চা গাছে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। চা গাছের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে। সেচের ব্যবস্থা করে কোনওরকমে চা গাছের জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তাতে আবার চাষের খরচ বাড়ছে। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খুব চিন্তিত। বৃষ্টি হলেই এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। নচেৎ নয়।
টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার নর্থবেঙ্গল ব্রাঞ্চের সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, জলসঙ্কট মেটাতে সেচের মাধ্যমে চা বাগানের জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। আবার জলের উৎস বিভিন্ন খাল, পুকুরেও জলস্তর নেমে গিয়েছে। জলসঙ্কট কাটাতে গিয়ে খরচ বাড়ছে। এমনিতেই বাজারে দাম না মেলায় সঙ্কট চলছে। তারউপর খরচ বাড়ছে। যা চা চাষের জন্য অশনীসঙ্কেত। ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় জলসঙ্কটের জন্য বাগানে লাল মাকড়, চা পাতার রস শোষণকারী মশার মতো একাধিক পোকার আক্রমণও শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় চা চাষ ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।