ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদারগঞ্জ গ্রামের আদিবাসী পরিবারের মেয়ে সুদীপা এবছর ৬০২ পেয়ে জেলায় আদিবাসী পড়ুয়াদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম। চিকিত্সক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম আসে না সুদীপার। চোখের জল মুছতে মুছতে বলে, আমাদের টাকা নেই। চিকিত্সক হতে পারব কি না জানি না। প্রশাসন পাশে থাকলে পড়া চালিয়ে যাব। আদিবাসী সমাজের মানুষের সেবা করে তাদের পাশে থাকতে চাই। মাটির বাড়িতে বর্ষাকালে চরম কষ্টের মধ্যে কাটাতে হয়। তবে হাল ছাড়েনি সুদীপা। বাবা সুধীর মুর্মু ও মা দিপালী বাস্কে দিনমজুর। তাঁদের সঙ্গেই মাঠে কাজ করে সুদীপা। সেই প্রতিকূলতা সামলে দাশুল উচ্চবিদ্যালয়ের এই ছাত্রী ৬০২ পেয়ে প্রথম হয়েছে।
সুদীপা মাধ্যমিকে বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৭৪, অঙ্কে ৮৩, ভৌতবিজ্ঞানে ৮০, জীবন বিজ্ঞানে ৮৫, ইতিহাসে ৯০, ভূগোলে ৯৫ পেয়েছে। পড়াশোনা ছাড়াও ছবি আঁকতে সে ভালোবাসে। গড়ে ৫-৬ ঘন্টা পড়ত। শিক্ষকরাও তাকে সবরকমভাবে সাহায্য করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সন্তোষ হাঁসদা বলেন, সুদীপার ইচ্ছাপূরণে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কতটা সহযোগিতা করা যায় দেখব।