উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
সম্প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তর ৪৬ জন চিকিৎসককে এ জেলায় আসার নির্দেশ দেয়। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’জন জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দিয়েছেন। এ ঘটনা নিয়েও জেলার বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, বিষয়টি নিয়ে অযথা হইচই করা হচ্ছে। বিকল্প চিকিৎসক না এলেও জেলা হাসপাতাল কিংবা ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটির পরিষেবা বিঘ্নিত হবে না।
বিজেপি প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দেবকুমার শা বলেন, বদলি হতেই পারে। কিন্তু বিকল্প চিকিৎসকের ব্যবস্থা না করে ডাক্তার বদলির ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বদলি হওয়া চিকিৎসকদের জায়গায় দ্রুত নতুন চিকিৎসক না পাঠানো হলে আমাদের সংগঠন রাস্তায় বসে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য রাতুল বিশ্বাস বলেন, এমনিতেই কলকাতা থেকে চিকিৎসকরা প্রান্তিক জেলায় আসতে চান না। তারউপর কোভিড পরিস্থিতিতে এভাবে চারজন চিকিৎসক বদলির ঘটনায় পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। এ ব্যাপারে আমরা সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিয়েছি।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, এটা রুটিন বদলি। তাছাড়া বিকল্প চিকিৎসক দেওয়া না হলেও তাতে জেলা হাসপাতাল বা ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিষেবা এতটুকুও বিঘ্নিত হবে না। বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ অযথা হইচই করছে, কেন তা বুঝতে পারছি না।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবন থেকে আলিপুরদুয়ার জেলায় ৪৬ জন চিকিৎসককে পাঠানোর অর্ডার দেওয়া হয়। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনই কাজে যোগ দেননি। যাঁরা এসেছেন তাঁদের টোটোপাড়া, আলিপুরদুয়ার-১ সহ জেলার অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
৪৬ জন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র ছ’জন জেলায় আসার ঘটনায় এমনিতেই ক্ষোভ রয়েছে। তার উপর ৩ নভেম্বর জেলা হাসপাতালের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও একজন অর্থোপেডিক সার্জনকে জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছে। একইভাবে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটির একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকেও জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছে। ওই চারজনই তাঁদের নতুন কর্মস্থলে চলে গিয়েছেন।