উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পাহাড়ের জনগণ গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন করে গেলেও একদা পাহাড়ের বাদশা প্রয়াত সুবাস ঘিসিং থেকে বিমল কিংবা বিনয় বা দার্জিলিংয়ের বিজেপি এমপিরা তা এনে দিতে পারেননি। বিজেপি থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুঙ্কার দিয়েছে জিএনএলএফও। জিএনএলএফের দার্জিলিং জেলা শাখার সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, তৃণমূল-বিজেপি-মোর্চা নিজেদের মধ্যে লড়ুক। এতে আসল ফায়দা হবে জিএনএলএফের। বারবার বিমল, বিনয়রা পাহাড়াবাসীকে পৃথক রাজ্য দেওয়ার কথা বলে আন্দোলনে নামিয়ে সরে গিয়েছেন। মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। আমরাই পারব পাহাড়ের জনগণকে তাঁদের দাবি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে। বিজেপিও আমাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ। আমাদেরও বিজেপির সঙ্গ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
জন আন্দোলন পার্টির সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, বিজেপি কেন, কেন্দ্রে যে সরকারই আসুক না কেন, দার্জিলিং পাহাড়বাসীর দাবি কেউ মেটাবেন না। পাহাড়ের জনগণের দাবিকে সামনে রেখে এখান থেকে ভোট নিয়ে চলে যাবেন। বিজেপি সবথেকে মিথ্যাবাদী দল। বিজেপিকে বিশ্বাস করে বিমল আজ এলাকাছাড়া। সেই জন্যই আমরা ২০১৫ সালে বিমলের দল ছেড়ে নতুন দল জন আন্দোলন পার্টি গড়ি।
দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা অবশ্য বলেন, জিটিএ বাদ দিয়ে আমরা স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই। ২০১৭ সালে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমলের নেতৃত্বে টানা ১০৪ দিন বিক্ষোভ আন্দোলন চলেছিল, আগুন জ্বলেছিল পাহাড়ে। ওই সময়ে ১৩ জন আন্দোলনকারী মারা গিয়েছিলেন। পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, তখন বিজেপিকে দেখা যায়নি। পাহাড়ের আন্দোলন তুলে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বাসার জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রামন্ত্রী রাজনাথ সিং বিমল গুরুংকে চিঠি দিয়েছিলেন। ২৪ সেপ্টেম্বর গুরুং পাহাড় বন্ধ তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। বারবার আশ্বাস মিললেও পাহাড় ইস্যুতে স্থায়ী কোনও সমাধান এতদিনও হয়নি।
এদিকে পাহাড়ে আশান্তি পাকানো, আন্দোলনকারী কয়েকজনের মৃত্যুর পর দেশদ্রোহীতা সহ বিভিন্ন মামলা হয় গুরুংয়ের নামে। দীর্ঘদিন গুরুং অন্তরালে থাকেন। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি থেকে সমর্থন তুলে তৃণমূলের হাত ধরে জনতার মধ্যে আসার কৌশল নিয়েছেন গুরুং। এদিকে বিমল পাহাড় ছাড়তেই তাঁরই গড়া গোর্খা জনমুক্ত মোর্চার দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিনয়। তিনি পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য তখনই বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে মমতার হাত ধরেছিলেন। এবার পাহাড়ের বেশিরভাগ সংগঠন বিজেপির বিরোধীতায় একসুর হওয়ায় চিন্তাবাড়ছে পদ্মশিবিরেও।