উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বর্তমানে আমন ধান ঘরে তোলার পর চাষিরা আলু ও তামাক চাষ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে জেলায় আমন ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। শীতের শুরুতে এই সময় আলু ও তামাক চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেশি হয়। ফলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই সারের ব্যাপক চাহিদা থাকে। অভিযোগ, এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী চাষিদের বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য করেন। কৃষিদপ্তর এনিয়ে অভিযান করার পরও কালোবাজারি বন্ধ হয়নি। চাষিদের দাবি, তামাক ও আলুতে একইসঙ্গে চাপান হিসেবে ইউরিয়া সারের ব্যবহার করা হয়। সেই সময়ে ইউরিয়া সারের সঙ্কট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ দাম নেন। একাংশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জেলার জন্য বরাদ্দ সার পার্শ্ববর্তী রাজ্যেও পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তুফানগঞ্জ থেকে অসমে পাচার করার সময় দপ্তর প্রচুর পরিমাণ সার বাজেয়াপ্ত করেছে। তারপরই জোরদার নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা কৃষিদপ্তর। যদিও সার ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, যাঁরা রাসায়নিক সারের ডিস্ট্রিবিউটর, তাঁরাই রাসায়নিক সারের কালোবাজারি করেন। কৃষিদপ্তর সবকিছু জানার পরও কোনও পদক্ষেপ করে না। ডিস্ট্রিবিউটররা যে সারের চাহিদা বেশি থাকে, তার সঙ্গে ট্যাগ করে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী তাঁদের দিয়ে দেয়। সেটা বিক্রি করতে না পেরেই তাঁরা দ্বিগুণ দাম নিতে বাধ্য হন। এব্যাপারে কোচবিহার জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা ( প্রশাসন) অরুণকুমার বসু বলেন, আমাদের জেলায় গত বছর ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার আলুর দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তাতে কিছুটা বেশি জমিতে আলুর চাষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তুলনামূলকভাবে গত বছর একটু কম জমিতে তামাক চাষ হয়েছিল। জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। এখনও পর্যন্ত জেলায় রাসায়নিক সারের মজুত সঠিক পরিমাণে রয়েছে। আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা যাতে আধার কার্ডের নম্বর নথিভুক্ত করে সার বিক্রি করেন, সেদিকেও নজর রয়েছে। আমরা কালোবাজারি রুখতে ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালাব।