উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
হাতির এমন উপদ্রবে ওই দু’টি গ্রামের বাসিন্দারা বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন। আবার হাতির দল গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া রেললাইন পারাপার করায় রাতে ট্রেনের ধাক্কায় যেকোনও দিন হাতি মৃত্যুর ঘটনার আশঙ্কাও তাড়া করছে গ্রামবাসীদের। গ্রামে হাতি তাড়াতে দু’দিন ধরে বনকর্মীরা ভোররাত পর্যন্ত কাজ করছেন।
ওই এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের আশা নার্জিনারি বলেন, শনিবার রাতে মধ্য ছেকামারিতে কমপক্ষে ৯০টি হাতির দল আমন খেতে হানা দিয়েছিল। হাতির দল স্থানীয় গোপাল ছেত্রীর সাত বিঘা ধান খেয়ে সাবার করে দিয়েছে। ঘটনার পর গোপালবাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এলাকায় হাতির উপদ্রব বন্ধ করতে বনদপ্তরকে বলা হয়েছে। শুধু গোপালবাবুই নন, ওই রাতে মধ্য ছেকামারির সতীশ নার্জিনারি, কালীপদ রায়েরও জমির ধান খেয়ে নেয় হাতির পাল। শুক্রবার রাতে উত্তর ছেকামারি গ্রামেও ১০ বিঘা জমির আমন ধান খেয়ে নিয়েছিল হাতির দল। এলাকার বাসিন্দা অংশুমান নার্জিনারি বলেন, হাতির উপদ্রবে বাড়িতে ধান আনতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আবার হাতির হামলায় প্রাণ সংশয়ের ভয়ে প্রতিদিন রাতও জাগতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী জলপাইগুড়ি বনদপ্তরের ধুমচি ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের খয়েরবাড়ি জঙ্গলের হাতির দল প্রতি রাতেই দু’টি গ্রামে হানা দিচ্ছে। মূলত আমন ধানের লোভে হাতির পাল আসছে। চলতি বছর হাতির হামলায় ছেকামারিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, ধান খেয়ে হাতির পাল যেভাবে রেল লাইনে উঠে যাচ্ছে তাতে যেকোনও সময় ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বনদপ্তরের টহলদারির অভাবে প্রায় রাতে হাতি গ্রামে আসছে। হাতি আটকাতে বাসিন্দারা বনদপ্তরের কাছে এলাকায় সোলার বাতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। বনদপ্তরের মাদারিহাটের রেঞ্জার রামিজ রোজার বলেন, গ্রামবাসীদের অভিযোগ ঠিক নয়। আমাদের লোকবল কম। তা দিয়েই সাধ্যমতো দু’টি গ্রামে ভোররাত পর্যন্ত আমাদের হাতি তাড়াতে হচ্ছে।