উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এদিন দুপুরে ব্লকের চাপড়েরপাড়-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকো চৌপথি থেকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ব্যানার, পোস্টের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ব্যবসায়ীরা মিছিলে হাঁটেন। মিছিলটি মহাকালগুড়ি চৌপথিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সভাও তাঁরা করেন।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্যবসায়ী সংগ্রাম কমিটি সম্পাদক রানা পাল বলেন, ২০১৩ সালে পাশ হওয়া জমি বিল অনুযায়ী জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সঠিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ক্ষতির পরমাণ সঠিক মূল্যায়ন করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছে। ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করার জন্য স্বশাসিত একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মনে হয় তারা সঠিক মূল্যায়ন করেনি। এখানে এসে ওরা মানুষের সঙ্গে কথাও বলেনি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আগামীতে আরও বড়সড় আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছি।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের কৃষি সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রতন রায় বলেন, মহাসড়ক নির্মাণের জন্য ব্লকের প্রায় ২৫০ জন কৃষকের জমি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও কৃষককেই সঠিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। ক্ষতিপূরণের টাকা জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাস্তা করার জন্য অনেক ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙা পড়েছে। প্রচুর চাষির আবাদি জমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু তাঁদের অন্ধকারে রেখে খুব সামান্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই তাঁরা এখন বিষয়টি মানতে চাইছেন না।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মহাকালগুড়ি চৌপথি থেকে চাপড়েরপাড়, কোচবিহার জেলার খোলটা, মরিচবাড়ি, আমতলি, ঘড়ঘড়িয়া এবং সোনাপুর হয়ে ফালাকাটা পর্যন্ত এই সড়কটি নির্মাণ করার কথা রয়েছে। তারজন্য একাংশে কাজও শুরু হয়েছে। যদিও এখন কাজটি বন্ধ আছে।