উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী সুপার অভীক মাইতি বলেন, আমরা হাসপাতালের জন্য একটি নতুন ইউএসজি মেশিন নিয়েছি। যার মধ্যে ইকো কার্ডিওগ্রাফির ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করে খুব দ্রুত এই পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করছি। আশাকরি, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা সাধারণ মানুষের এতে উপকার হবে।
রায়গঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন এভাবে যদি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামোর ক্রমশ উন্নতি ঘটে, তাহলে তা আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হবে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসেন এবং তাদের নানান সময় নানান ধরনের পরিষেবা প্রয়োজন হয়। এর আগে মেডিক্যালে ইউএসজি হলেও ইকো কার্ডিওগ্রাফি হতো না। সেটি বাইরে থেকেই করাতে হতো। তাতে একদিকে যেমন হয়রানি হতো, তেমনি খরচও বেশি লাগত।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে থাকা ইউএসজি মেশিনটি গন্ডগোল করছিল। বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হয়। সেই মতো পরিষেবা যাতে সচল থাকে সেজন্য তারা একটি নতুন ইউএসজি মেশিন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই মেশিনটি দিয়ে ইউএসজি তো হবেই মধ্যে বাড়তি সুবিধা হিসেবে ইকো কার্ডিওগ্রাফিরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থা দেখার পরই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে এখন থেকে ইকো কার্ডিওগ্রাফিও মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকেই করানো হবে। মেডিকেল সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনটি কেস, অর্থাৎ মাসে প্রায় ৬০ থেকে ৯০ জন রোগীর ক্ষেত্রে ইকো কার্ডিওগ্রাফি করানোর প্রয়োজন হয়। মূলত শিশুবিভাগের বহু শিশুর হৃদপিন্ডে ফুটো বা অন্যান্য নানা জটিলতার ক্ষেত্রে চিকিৎসা করাতে গেলে এই ইকো কার্ডিওগ্রাফির প্রয়োজন হয়।
চিকিৎসকেরা ইকো কার্ডিওগ্রাফি করার কথা পরামর্শ দিলে এতদিন রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের তা কোনও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে হাজার দেড়েক টাকার কাছাকাছি খরচও হচ্ছিল। মেডিক্যালে সেই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে কিন্তু তা মিলবে বিনামূল্যে।