উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মকদমপুর বাজারে প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে সুলভ মূল্যে আলু বিক্রির কাউন্টার। লম্বা লাইনও পড়ছে ২৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু কিনতে। একই বাজারের খুচরো আলু বিক্রেতাদের দোকানেও ভিড়। সেখানে অবশ্য ৪৫ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে জ্যোতি আলু। চন্দ্রমুখী আলুর দাম আরও খানিকটা বেশি। দুর্গাপুজোর কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই খুচরো বাজারে চড়তে শুরু করেছিল আলুর দাম। বাড়তে বাড়তে তা এখন ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে পৌঁছে গিয়েছে। চরম সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত মানুষ। পাইকারি বাজার থেকেও স্বস্তির খবর আসেনি মধ্যবিত্তের জন্য। পাইকারি বাজার সূত্রের খবর, এখনই দাম কমার সম্ভাবনা তো নেইই, উল্টে আরও বেশ খানিকটা বাড়তে পারে আলুর দাম।
তবে জেলা প্রশাসন কৃষি বিপণন দপ্তরের সাহায্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে মধ্যবিত্ত নাগরিকদের কিছুটা হলেও রেহাই দিতে। সেই লক্ষ্যেই শহরের বেশ কিছু জায়গায় ২৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝলঝলিয়ার কাজি আহজারউদ্দিন পুরবাজার ও মকদুমপুরের বঙ্কিমচন্দ্র পুরবাজারে কাউন্টার খুলে ২৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। এমনকি রাস্তাতেও কোথাও কোথাও কাউন্টার খুলেছে কৃষি বিপণন দপ্তর। কর্মী সঙ্কট থাকায় নিয়ন্ত্রিত বাজারের কর্মীদের সাহায্য নিয়েই সুলভে আলু বিক্রি চলছে।
কিন্তু জেলাজুড়ে আলুর বিশাল চাহিদা থাকায় কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না খুচরো দাম। কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিক তথা নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব অনুপম মৈত্র বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৩৩ কুইন্টাল করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে সুলভ মূল্যে। রবিবার আলুর চাহিদা অনেকটা বেশি থাকে। সেজন্য এদিন দু’টি পুরবাজারে অন্যান্য দিনের দ্বিগুণ, প্রায় ৬৫ কুইন্টাল আলু বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও আলুর চাহিদা রয়েছে। ফলে অনেকেই বেশি দামে খুচরো বাজার থেকে আলু কিনছেন।
কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে প্রত্যেকদিন প্রায় চারশো থেকে সাড়ে চারশো কুইন্টাল আলুর প্রয়োজন হয় খুচরো বাজারে। উৎসবের মরসুমে এই আলুর চাহিদা আরও বেড়ে যায়। মালদহে সেই অর্থে আলুর উৎপাদন হয় না। ফলে যোগানের জন্য নির্ভর করতে হয় অন্য জেলার ওপরে। এই সময়টাতেই জেলার অনেক চাষি আলু বোনার কাজ শুরু করেন। সেই আললু বাজারে না ওঠা অবধি দাম কমার সম্ভাবনা কম।
ওই দপ্তরের এক আধিকারিক সুশান্ত দাস বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নতুন আলু ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন আলুর দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি চলবে। তবে একই বাজারে একই আলু কোথাও ২৫ টাকা ও কোথাও ৪৫ টাকা দরে বিক্রির মতো ঘটনা অভূতপূর্ব বলেই মনে করছেন ক্রেতারা।