উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, স্মার্টফোনকে হাতিয়ার করে অনলাইনে একেক দিনে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়াখেলা চলছে। বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুরজুড়ে বেটিং চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আগামী ১০ নভেম্বর ফাইনাল। প্রতিযোগিতার অন্যান্য খেলার তুলনায় এখন সেই খেলাকে কেন্দ্র করে অনেক বেশি টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বেটিং চক্র চলছে এজেন্ট মারফৎ। ইচ্ছুকদের স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই হবে। প্রথমে বেটিং চক্রের পান্ডার কাছ থেকে আইডি নিতে হবে। সেই আইডি-ই হল পরিচয়পত্র। নগদ টাকা দিয়ে বাজি ধরতে হবে। বাজিতে জিতলে নগদ টাকাই আবার দিয়ে যাচ্ছে এজেন্টরা। টস হওয়ার আগে থেকেই টিমের উপর টাকা লাগানো শুরু হয়ে যাচ্ছে।
টি-২০ ক্রিকেট খেলায় মুহূর্তে মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলায়। তাই বাজির দরও ওঠানামা করে। খালি খেলায় জেতাহারা নয়, কে টসে জিতবে, কে আগে ব্যাট নেবে, স্পিনার কোন ওভারে আসবে- এমন অনেক ব্যাপার নিয়েই বাজি ধরা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন কেউ কেউ জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন। আবার অনেক জায়গায় জুয়ায় জেতার টাকায় রাত হলেই বসছে মদের আসর।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, অনলাইন বেটিং বা জুয়ার কথা কানে এসেছে। আইপিএলকে সামনে রেখে কোনও জুয়ার চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে, তার জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। অনলাইনে জুয়া চলছে বলে পান্ডাদের হাতের নাগালে পাওয়া একটু মুশকিল। তবে যেসব এলাকায় এই চক্রের এজেন্ট ও পান্ডাদের আনাগোনা থাকে, সেখানে আমরা নজরদারি চালাচ্ছি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, বেটিং বা জুয়ার বিষয় আমরা কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আইপিএলকে সামনে রেখে জুয়ার কারবার কোনওমতেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
হরিরামপুরের এক যুবক বলেন, আইপিএলের শুরু থেকেই রমরম করে জুয়া খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০০০ টাকা কোনও টিমের উপর লাগালে, পছন্দের টিম জিতলে ১৫০০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। পুলিসের নাকের ডগায় কারবার চললেও পুলিস প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।