Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজদণ্ড ও রাজমুকুট খসে পড়তে বাধ্য
পি চিদম্বরম

একটা নির্বাচনের পর কতগুলো দেশ এবং তাদের কতজন নাগরিক বলতে পারেন যে, তাঁরা চিন্তামুক্ত হয়েছেন? ইংরেজি ভাষায় ‘রাউন্ডিং দ্য কর্নার’ কথাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবদান! ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত অনেকাংশেই অবাধ এবং নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে আমেরিকার জনগণ জো বিডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে (মোটামুটিভাবে) চিন্তামুক্ত হলেন। কুকথা নিক্ষেপ এবং মিথ্যাচার সত্ত্বেও পরাজিত হলেন ট্রাম্প সাহেব। 
নির্বাচনটাকে আমি ‘অনেকাংশে অবাধ ও নিরপেক্ষ’ বলেছি। কারণ, গোড়ার দিকের ভোট প্রক্রিয়ায় ছন্দপতন ঘটানোর কিছু অপচেষ্টা হয়েছিল। প্রথম দিকের কিছু ভোট (ড্রাইভ-ইন ভোটিং) গণনা না-করার আর্জি জানিয়ে মামলা করা হয়। গণনায় রাশ টানার জন্য আদালত এই ধরনের কিছু মামলা গ্রহণও করেছে। এবং, শেষকালে ‘ট্রাম্প ক্যাম্পেন’ মরিয়া হয়ে তিনটি রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করে বসেছে। 

একটি অ্যাজেন্ডা পূরণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেসের নির্বাচন এমন একটা বিষয় যাতে সারা দুনিয়া মজে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামরিক এবং  প্রযুক্তির মিলিত শক্তিই এর কারণ। ইউএস হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভরা (৪৩৫ জন) দু’বছর অন্তর নতুন করে নির্বাচিত হন এবং আর্থিক ক্ষমতাটা থাকে তাঁদেরই হাতে। সিনেটের এক তৃতীয়াংশ (১০০ জন) নির্বাচিত হন প্রতি দু’বছর অন্তর এবং তাঁরাও বিরাট ক্ষমতা ভোগ করেন। ফেডারেল মিনিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস নিয়োগের মতো জটিল ব্যাপারে তাঁরা ‘পরামর্শ ও সম্মতি’ দেওয়ার অধিকারী। সুতরাং মার্কিন তরির গতিপথ প্রতি দু’বছর এবং চার বছর অন্তর নাটকীয়ভাবে বদলে যেতে পারে। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের এত যে কৌতূহল ও আগ্রহ সেটা এইজন্যই। 
অবশ্য কোনও গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত বিডেন সাহেব তাঁর অ্যাজেন্ডা মাফিক সব কাজ করে ফেলবেন। শুধু সঙ্কটজনক ইস্যুগুলোর কথা ভাবুন: দুর্বার গতির মহামারী, হেলথ কেয়ার অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট, ইমিগ্রেশন, জাতি ও লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, গর্ভপাত, বেড়ে চলা অর্থনৈতিক বৈষম্য, সহযোগীদের সঙ্গে সন্ধি, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্করক্ষা, বাণিজ্য চুক্তি, বিদেশি শিল্প-বাণিজ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ব্যাপারে সংরক্ষণ নীতি বনাম বিশ্ব বাণিজ্য, চীনের আগ্রাসী সম্প্রসারণ নীতি প্রভৃতি। ‘পপুলার ভোট’(একজন প্রার্থীর পক্ষে সারা দেশে যত ভোট পড়ে)-এর ভিত্তিতে বলা যায় যে, মার্কিন নির্বাচকমণ্ডলী বা ভোটারদের প্রায় অর্ধেক একটা পক্ষ হয়ে বেড়ার একদিকে থাকেন এবং বাকিরা থাকেন তার উল্টো দিকে। যেহেতু সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে এবং ডেমোক্র্যাটরা হাউসকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তাই এবার দু’পক্ষের বিরোধটা তীব্রতর হবে। 

দ্বৈত ব্যবস্থা আর নেই
রাজৈনতিক ব্যবস্থাটাই কারণ। ভয়ের ব্যাপার এই যে, একটা দেশ লিবারাল বা উদার থাকবে, নাকি দক্ষিণপন্থার দিকে ঝুঁকবে সেটা একটা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের উপর নির্ভর করে। ২০১৬ সাল থেকে অনেক বেশি দেশ দক্ষিণপন্থার দিকে ঢলে পড়েছে। আমাদের পড়শি দেশগুলোর মধ্যেই এর অনেক উদাহরণ রয়েছে—ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্স। একজন প্রধানমন্ত্রী (সংসদীয় ব্যবস্থায়) এবং একজন রাষ্ট্রপতির (রাষ্ট্রপতি-প্রধান ব্যবস্থায়) ক্ষমতার মধ্যে ফারাক বিস্তর। খানিকটা ‘চক’ আর ‘চিজ’-এর মধ্যে যে পার্থক্য। এই তফাতটা কিন্তু মুছে যাচ্ছে। অনেক ‘চক’ এখন ঐতিহ্যবাহী ‘চিজ’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। সংবিধান সংশোধন করে তারা এটা করছে, যেমনটা হয়েছে শ্রীলঙ্কায় কিংবা ভারতের দিকে খেয়াল করুন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে বিরাট ক্ষমতাধর করে নেওয়া হচ্ছে। একজন প্রধানমন্ত্রী যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো ক্ষমতা ভোগ করেন তখন তিনি বিপুল ক্ষমতাধর—তাঁর হাতে থাকে ঋণ করার ক্ষমতা, ব্যয় করার ক্ষমতা, আন্তর্জাতিক চুক্তি করার অথবা চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা এবং যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতাও।  প্রকৃত সংসদীয় ব্যবস্থায় একজন প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার দ্বারা সুরক্ষিত থাকেন এবং ‘এগজিকিউটিভ পাওয়ার’ বলতে যা বোঝায় সেসব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে তিনি শেয়ার করেন। আইনানুসারে তিনি সংসদ অথবা সংসদীয় কমিটিগুলোর কাছে দায়বদ্ধ এবং প্রতিটা ব্যয়ের জন্য তাঁকে সংসদের অনুমোদন নিতে হয়। 

গোপনে বদল
অবাক হওয়ার কিছু নেই, উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রধানমন্ত্রীরা ‘প্রকারান্তরে’ রাষ্ট্রপতি (ডি ফ্যাকটো প্রেসিডেন্ট) হতে চান। যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সংশোধন করে সেটা হতে না-পারেন তবে তিনি সেটা করেন গোপনে, পরিণামে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গোল্লায় চলে যায়। আর তিনি যদি ওইসঙ্গে তাঁর দলের অপ্রতিরোধ্য নেতা হয়ে থাকেন, তবে ‘ডি ফ্যাকটো প্রেসিডেন্ট’ হয়ে ওঠার পূর্ববর্তী সময়টা তিনি নির্ঝঞ্ঝাটেই পার করে দিতে পারেন। একমাত্র ভরসা হল প্রধানমন্ত্রীর গরিষ্ঠতার বহর এবং গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর মনোবৃত্তি। সংসদে বিপুল গরিষ্ঠতা এবং  গণতন্ত্রের প্রতি কম আগ্রহ, একজন প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতির মতো  শাসনকার্য পরিচালনায় প্ররোচিত করে। 
দুর্ভাগ্য এই যে, জনসাধারণের ভিতর কিছু শ্রেণী, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ধনী এলিট এবং মতাদর্শের দ্বারা পরিচালিত লোকজন, মনে হয়, তারা একজন একনায়ককেই চায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ঠেকাতে প্রকৃত গণতন্ত্রের যে জটিল ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স’ ব্যবস্থা, সেটা তাদের পছন্দের নয়।
শ্রদ্ধা করার মতো কিছু ব্যতিক্রম আছেন। তাঁদের বাদ দিলে বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত নেতাদের মধ্যে একনায়ক হওয়ার ঝোঁকটাই প্রকট হচ্ছে। প্রচলিত প্রতিষ্ঠানগুলো এবং গণতন্ত্রের কৌশলগুলোকে তাদের জায়গায়  রেখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঘুরপথে সেগুলোর ভিতরটা ফাঁপা করে দেওয়া হচ্ছে—অফিসগুলোতে গোমস্তা শ্রেণীর লোকজন বসিয়ে দিয়ে, দুর্বল অথবা সীমিত ক্ষমতার আইন প্রণয়ন করে, টাকাকড়ি না দিয়ে, আমলাতান্ত্রিক বাধাদান করে অথবা ভয় দেখিয়ে। ভারতের ক্ষেত্রে শূন্যগর্ভ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, অর্থ কমিশন এবং মানবাধিকার, নারী, শিশু, এসসি, এসটি, সংখ্যালঘু, সংবাদ মাধ্যম বা প্রেস প্রভৃতির জন্য যে জাতীয় কমিশনগুলো রয়েছে। বিরোধীদের সঙ্গে পরামর্শ করার যে আইনি বাধ্যবাধকতা সেটা শব্দজব্দে পরিণত করা হয়েছে। 
রাজ্যগুলোর আর্থিক প্রাপ্য নস্যাৎ করে, অথবা জাতীয় সংসদে পুরনো আইন বাতিল করে, একটা ফেডারেল ব্যবস্থায় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ বাড়িয়ে নেওয়া হয়—সংসদীয় ক্ষমতার বণ্টন ব্যবস্থাটা রসাতলে চলে যায়। 
পৃথিবীর গুটি কয়েক দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে। আমার হিসেবে এই দেশগুলো হল—যুক্তরাজ্য (ইউকে), কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, জাপান, সুইজারল্যান্ড, কয়েকটি খারাপ ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো, এবং হতে পারে অন্যত্র আরও দু’-চারটে দেশ আছে। তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশের যে বিশাল সংখ্যাটা, সেগুলো চরিত্রগতভাবে আদৌ গণতান্ত্রিক নয়—সবচেয়ে পুরনো গণতন্ত্র যেভাবে গঠিত হয়েছিল সেই বিচারে। ভাগ্যের এমনই পরিহাস প্রাচীনতম গণতন্ত্র নিজেও তাই! যাই হোক, অন্যসব দেশের দিকে আঙুল তোলার আগে বৃহত্তম গণতন্ত্রের নিজের যোগ্যতা পুনরায় যাচাই করে দেখার সময় হয়েছে। 
লেখক সংসদ সদস্য ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
দখলদারি নয়, লড়াই হোক
বাংলার উন্নয়নের জন্য
হিমাংশু সিংহ

অবাঙালি আগ্রাসন, ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা নেতাদের দাপাদাপি, শেষে পানের পিক ফেলে বিমানবন্দরের দিকে দৌড়—বাংলার রাজনীতি সচেতন মানুষ কখনও মেনে নেবেন না। বিশদ

08th  November, 2020
কর্মীদের চাঙ্গা করতেই
৩৫৬ ধারার ফাঁদ
তন্ময় মল্লিক

৩৫৬ ধারা জারির দাবি জোরদার করার পিছনেও রয়েছে এক কৌশল। নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অক্সিজেন জোগানোই এর উদ্দেশ্য। বিশদ

07th  November, 2020
জনাদেশ রক্ষাই আমেরিকার কাছে চ্যালেঞ্জ
মৃণালকান্তি দাস

 এই মুহূর্তে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারক প্যানেলে রক্ষণশীলরা ৬-৩’এ এগিয়ে। সেজন্যই ট্রাম্প হার-জিত ভুলে বসে থাকতে চাইছেন সাদা বাড়ির দরজায় ভিতর থেকে ছিটকিনি দিয়ে। বিশদ

06th  November, 2020
লোকাল ট্রেন: আসলে
দু’কুল রক্ষার লড়াই
হারাধন চৌধুরী

কোভিড একটি রোগ বা মহামারীর নাম শুধু নয়, স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের নাম। বিগত শতকের ভারত-চীন এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের চেয়েও বড় এই যুদ্ধ। পূর্বোক্ত যুদ্ধগুলি ছিল রাষ্ট্র এবং সেনা বাহিনীর মধ্যেকার। কিন্তু কোভিড-যুদ্ধ জড়িয়ে নিয়েছে সকলকে—সদ্যোজাত শিশু, গৃহবধূ থেকে অশীতিপর-নবতিপর নরনারী, এমনকী সবরকমে প্রতিবন্ধীকেও।   বিশদ

05th  November, 2020
 মোদি সরকার নিজেই
এক দুরারোগ্য অ্যাপ
সন্দীপন বিশ্বাস

দেশের মানুষ যখন অন্ধভাবে বিশ্বাস করলেন সরকারকে, তাঁদের সমস্ত তথ্য আপলোড করে তুলে দিলেন সরকারের হাতে, তখন তার সুরক্ষা নিয়ে সরকারের তেমন দায় সত্যিই কি নজরে পড়ল? পড়ল না। বারবার বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে।
বিশদ

04th  November, 2020
আর রাজনৈতিক অশান্তি চায় না পাহাড়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাহাড়ের শান্তি। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনতে পেরেছেন। বেঁচে থাকতে গেলে শান্তি দরকার সবার আগে... এই কঠিন সত্যটা হাড়ে হাড়ে জানে পাহাড়বাসী। বিশদ

03rd  November, 2020
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গান্ধীজির
পক্ষে ছিল সঙ্ঘ
জিষ্ণু বসু

১৯৩০-এ লবন সত্যাগ্রহেও হেডগেওয়ার অংশ নেন। গান্ধীজির নেতৃত্বে চলা স্বাধীনতা সংগ্রামের সামাজিক সংগঠন হিসাবে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন স্বয়ংসেবকরা। এত কিছুর পরেও সঙ্ঘ প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ নেয়নি। বিশদ

02nd  November, 2020
উদার গণতন্ত্রের মন্থর মৃত্যু
পি চিদম্বরম

‘গণতন্ত্র’ কিন্তু ‘উদার দেশ’ ধারণার সমগোত্রীয় নয়। একটি গণতন্ত্র অল্প সময়ের ভিতরেই অনুদার হয়ে যেতে পারে, যেটা ভারতের ক্ষেত্রে ঘটেছে। বিশদ

01st  November, 2020
‌বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন
ও পাহাড়ের রাজনীতি

তন্ময় মল্লিক

এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত চরিত্র বিমল গুরুং। রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেই গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ ও তৃণমূলকে সমর্থনে তাঁর ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমোর এই ডিগবাজি গেরুয়া শিবিরে বিনা মেঘে বজ্রপাত। বিশদ

31st  October, 2020
আমেরিকান কর্পোরেট ও ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতকে বুঝতে হবে নিজেদের শক্তি। সেইমতো নতুন প্রেসিডেন্টের চোখে চোখ রেখে আদায় করতে হবে ভারতের স্বার্থ। এবার সিস্টেমটা বদলে যাক। আমরা আর মার্কিন কর্পোরেটের হাতে পুতুল হয়ে ব্যবহৃত হব না। বিশদ

30th  October, 2020
বিহারের ফল বাংলাতেও
প্রভাব ফেলবে
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

করোনা আবহে বিশ্বে সর্বাধিক ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিহার বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ভোটারের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ২০ বছর বিহারে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। বিশদ

30th  October, 2020
কৈলাসে ফিরতে
মন চাইবে না মা
হারাধন চৌধুরী

আমাদের পাশে থেকো মা। তোমাকে কথা দিচ্ছি, আগামীবার এসে দেখবে—আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত অসুখ সেরে গেছে। আমাদের কারও মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় নেই, কোনওরকম ছুঁৎমার্গ নেই। বিশদ

29th  October, 2020
একনজরে
খড়্গপুর-২ ব্লকের সাঁকোটির কাজিচকে রবিবার সকালে রান্নার গ্যাসের পাইপ লাইন লিক করে আগুন লেগে গেলে একই পরিবারের চারজন সহ মোট পাঁচজন জখম হন। জখমদের মধ্যে একজন শিশুও আছে। ...

রবিবার সকালে হবিবপুরের আইহোতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাস কন্ডাক্টর ও খালাসিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল ১০টা থেকে বাস রাস্তায় দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেন বাসচালক ও পরিবহণ কর্মীরা। এর জেরে আইহোতে মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ...

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে ফের ধস নামালো রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার আমতা ২ নং ব্লকের তাজপুর এম এন রায় ইনস্টিটিউশনের মাঠে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এক জনসভায় ২৫০ জন বিজেপি সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে যোগ ...

আলিবাগের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ধৃত সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে সরানো হল নবি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা বন্দিদের জন্য মেক-শিফ্ট কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে আলিবাগের পুরসভার স্কুলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৭৯৩: হুগলি নদীতে পৌঁছালেন ব্যাপ্তিস্ত মিশনারি মিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম কেরি
১৮৬১: কানাডায় টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সরকারিভাবে নথিভুক্ত প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়
১৮৭৭: ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’র রচয়িতা মহম্মদ ইকবালের জন্ম
১৯৬০: জার্মান ফুটবলার আন্দ্রে ব্রেহমের জন্ম
১৯৭৪: ইতালির ফুটবলার আলেকজান্দ্রো দেল পিয়েরোর জন্ম
১৯৮৯: বার্লিন দেওয়ালের পতন
২০০৫: ভারতের দশম রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণনের মৃত্যু
২০১১: নোবেল পুরস্কার জয়ী হরগোবিন্দ খুরানার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৯ টাকা ৭৪.৯০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৭৩ টাকা ৯৯.১৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৩৩ টাকা ৮৯.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
08th  November, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,০২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  November, 2020

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪২৭, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০, অষ্টমী ২/৩৪ দিবা ৬/৫১ পরে নবমী ৫৯/৭ শেষ রাত্রি ৫/২৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ৭/১২ দিবা ৮/৪২। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১০/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/২২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ গতে ৮/৩৫ মধ্যে পুনঃ ২/৬ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৩ গতে ১১/২০ মধ্যে।  
২৩ কার্তিক, ১৪২৭, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১২/৮ । মঘানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৪ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ১০/৫৮ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ গতে ৮/৩৬ মধ্যে ও ২/৭ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৪ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?
 

মেষ: সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। বৃষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। মিথুন: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহৃদয় মনোভাব ...বিশদ

04:29:40 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩,৯০৭
বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯০৭ জন। সোমবার ...বিশদ

08:00:31 PM

অস্ট্রেলিয়া সফর: ভারতীয় দলে রদবদল 
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ঘোষিত দলের মধ্যে বেশকিছু রদবদল করলেন নির্বাচকরা। ...বিশদ

04:56:00 PM

খাদ্যদ্রব্যের মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
করোনার আবহের মধ্যেই বাজার আগুন। আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জি ...বিশদ

04:19:01 PM

অভিনেতা অর্জুন রামপালকে হাজিরার নোটিস দিল এনসিবি 

03:36:00 PM

কাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর পাল্টা সভা তৃণমূলের
আগামীকাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। সকালে ভূমি ...বিশদ

03:35:00 PM