Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‌বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন
ও পাহাড়ের রাজনীতি

তন্ময় মল্লিক

এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত চরিত্র বিমল গুরুং। রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেই গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ ও তৃণমূলকে সমর্থনে তাঁর ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমোর এই ডিগবাজি গেরুয়া শিবিরে বিনা মেঘে বজ্রপাত। রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত গুরুংকে ধরে রাখতে বিজেপির চেষ্টার খামতি ছিল না। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে গুরুংয়ের ক্ষোভ চাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্তে সেই গেম প্ল্যানও ভেস্তে যায়। তারপরই গুরুংয়ের শিবির বদলের সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি বুঝেছেন, তৃণমূল ফের জিতলে দীর্ঘায়িত হবে তাঁর আত্মগোপন পর্ব। তাই পাহাড়ে ফেরার রাস্তা মসৃণ করতেই তৃণমূলকে তাঁর নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা।
ভোট সর্বস্ব রাজনীতিতে শিবির বদল বা ডিগবাজি নতুন নয়। রাজনীতির কারবারিরা শিবির বদল করেন বলেই পাল্টে যায় জোট রাজনীতির সমীকরণ। বদলায় ক্ষমতা। তবে গুরুংয়ের শিবির বদল তা থেকে কিছুটা ভিন্ন। আপাতদৃষ্টিতে গুরুং শিবির বদল করেছেন বলে মনে হলেও বাস্তবটা হল, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক কৌশলের কাছে তিনি মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রীর বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছেন।
বিজেপির ছত্রচ্ছায়ায় থেকে টানা তিন বছর গুরুং রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন। ভেবেছিলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জেতালে এবং কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার গড়লে পূরণ হবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। কিন্তু সরকার গঠনের পর বছর ঘুরলেও গোর্খাল্যান্ড নিয়ে তিনি একচুলও এগতে পারেননি। উল্টে তাঁকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। সেই সুযোগে একদা তাঁরই ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাংকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করছেন। রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সমস্যা মিটিয়ে বিনয় তামাং ও অনীত থাপা হয়ে উঠছেন দক্ষ প্রশাসক। পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও এক এক করে কাছে টেনে নিচ্ছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁর আমও যাবে, ছালাও যাবে। গোর্খাল্যান্ড তো হবেই না, পাহাড়ের দরজাও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই একদা পাহাড়ের এই বেতাজ বাদশার সামনে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ছাড়া অন্য রাস্তা ছিল না। সম্ভবত দিল্লিতে বসেও তিনি টের পাচ্ছিলেন, বদলাচ্ছে বঙ্গের পরিস্থিতি।
তবে কেউ কেউ গুরুংয়ের এই আত্মসমর্পণের পিছনে বিজেপির সূক্ষ্ম প্যাঁচ আছে বলে মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিমল গুরুংয়ের মাথায় ঝুলছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। তাই বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পক্ষে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ভোট করানো সম্ভব হতো না। তার উপর বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে গেলে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর নেই। উল্টোদিকে বিনয় তামাং ক্ষমতার সুবাদে প্রভাব বিস্তার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গুরুং তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে পাহাড়ে উঠলে বিনয়-বিমল সংঘাত অনিবার্য। সেই সুযোগে জিএনএলএফকে সামনে রেখে ফায়দা তুলবে বিজেপি। কারণ জিএনএলএফের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের এখনও সুসম্পর্ক আছে। তবে গুরুংকে তৃণমূল কীভাবে কাজে লাগাবে, তার উপরেই নির্ভর করবে বিজেপি আদৌ বেনিফিট পাবে কি না! 
বিমল গুরুংয়ের বিজেপি সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে তৃণমূল সমর্থন করেছে। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের পাশে থাকার ঘোষণাকেও স্বাগত জানিয়েছে শাসক দল। কিন্তু প্রতিক্রিয়ায় সংযমের ছাপ স্পষ্ট। বিমল বিজেপির হাত ছাড়ায় উত্তরবঙ্গের ১০/১২টি আসনে শাসক দলের সুবিধা হতে পারে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল নেতৃত্ব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, তৃণমূল সুপ্রিমো একেবারে ‘স্পিকটি নট’। অনেকেই মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে জল মাপতে চাইছেন। তবে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাই যে তাঁর লক্ষ্য, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। 
রাজনীতিতে উপরে ওঠার সিঁড়িটির নাম হল কৌশল। আর তা নির্ধারিত হয় অনুমান এবং অঙ্কের ভিত্তিতে। কৌশল ঠিকঠাক কাজ করলে সেটাই হয়ে যায় রাজনীতির মাস্টার স্ট্রোক। আর ভুল হলেই ব্যুমেরাং। তখন সেই অস্ত্রে সে নিজেই ঘায়েল হয়।
লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ির জনসভায় গোর্খাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে বিমল গুরুং সহ নেপালি ভোটের বৃহৎ অংশ কব্জা করেছিলেন। তখন সেটা ছিল বিজেপির মাস্টার স্ট্রোক। এখন সেই বিমল গুরুংই গেরুয়া শিবিরের কাছে ব্যুমেরাং। কারণ গুরুং শুধু মমতায় আস্থা রাখেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিজেপির সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই। পাহাড়ের উন্নতির জন্য নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করেননি। একমাত্র মমতাই কথা রেখেছেন।’ এখানে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ শব্দটি হল, ‘পাহাড়ের উন্নতির জন্য’। পাহাড়ের খবর যাঁরা রাখেন তাঁরা জানেন, গোর্খাদের জাত্যভিমান প্রবল। তাকে কাজে লাগিয়েই সুবাস ঘিসিং আশির দশকের গোড়ায় দার্জিলিং পাহাড়ে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু করেছিলেন। প্রথমে তাঁর দাবি ছিল পৃথক দেশের। তারপর পৃথক রাজ্য। তিনি পাহাড়বাসীকে বুঝিয়েছিলেন, তাঁরা বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। একমাত্র পৃথক রাজ্যই পাহাড়ের মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দূর করতে পারে। পবরর্তীকালে সেই দাবি থেকে সরে তিনি গোর্খা পার্বত্য পরিষদ নিয়েই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। পাহাড়ের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগের সেটাই শুরু। তারপর যখনই রাজ্য সরকার হিসেব চেয়েছে তখনই ঘিসিং পৃথক রাজ্যের দাবিতে হুঙ্কার ছেড়েছেন। আর বাম সরকার কঠোর পদক্ষেপের বদলে তাঁর দেওয়া শর্ত মেনে সমঝোতা করেছে। সেটা ছিল বামেদের কৌশল। পাহাড় তোমার, সমতল আমার। সেই কৌশলেই ঘিসিং দু’দশকেরও বেশি সময় পাহাড় কব্জায় রেখেছিলেন।
পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে গিয়েছিলেন ঘিসিং। উল্টে দার্জিলিংকে তিনি ষষ্ঠ তফসিলির অন্তর্ভুক্ত করে আরও বেশি ক্ষমতা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা লাভের চেষ্টা করেছিলেন। পাহাড়বাসী বুঝেছিল, গোর্খাল্যান্ডের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে ক্ষমতা ভোগই ঘিসিংয়ের উদ্দেশ্য। তা নিয়ে পাহাড়ের মানুষের দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছিল। আর তারই সুযোগ নিয়েছিলেন বিমল গুরুং। 
ইন্ডিয়ান আইডল গানের প্রতিযোগিতায় প্রশান্ত তামাংয়ের হয়ে ভোট করিয়ে তাঁকে চ্যাম্পিয়ন বানানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই বিমলই। প্রশান্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। কিন্তু গোর্খাদের কাছে হিরোর মর্যাদা পেয়েছিলেন বিমল। তাকে হাতিয়ার করেই ধুরন্ধর বিমল ‘পাহাড়ো কা রাজা’ সুবাস ঘিসিংকে পাহাড় ছাড়া করেছিলেন। দিল্লি থেকে ফেরার পথেই তাঁকে আটকে দিয়েছিলেন গুরুং।
২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাহাড়ের অধীশ্বর ছিলেন বিমল গুরুং। জিটিএ-র প্রধানের কুর্সি দখল করে তিনিও ভুলেছিলেন পাহাড়বাসীকে দেওয়া পৃথক রাজ্য আদায়ের প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতা ভোগই হয়ে উঠেছিল তাঁর লক্ষ্য। তাঁর বিরুদ্ধেও উন্নয়নের টাকা নয়ছয়, স্বজনপোষণের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নবান্নে জমা পড়তে থাকে। তা নিয়ে সরকার নাড়াচাড়া করতেই বিমল প্রমাদ গোনেন। তিনিও ঘিসিংয়ের জুতোয় পা গলিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন। কিন্তু পাহাড়বাসীকে খেপানোর মতো জুতসই ইস্যু পাচ্ছিলেন না। সমস্ত স্কুলে বাংলা ভাষা শিক্ষার নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করেই গুরুং ‘বঙ্গাল সরকারে’র বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছিলেন জেহাদ।
দিনটা ছিল ২০১৭ সালের ৮ জুন। দার্জিলিংয়ের গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বসেছিল ক্যাবিনেট মিটিং। গুরুং মিছিল নিয়ে সেদিকে এগতেই পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ। অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পাহাড়। প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা পাহাড় বন্‌঩ধের ডাক। একেবারে ঘিসিংয়ের স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু কৌশল কাজ করেনি। কারণ প্রতিপক্ষের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও ইস্পাত কঠিন মানসিকতার সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন বিমল গুরুং।
‘বঙ্গাল হামরো চিয়ান হো’। এর অর্থ, বাংলা আমাদের বদ্ধভূমি। এটাই ছিল বিমল গুরুংয়ের প্রিয়তম স্লোগান। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সেই প্রাক্তন সুপ্রিমোর আস্থা এখন মোদিতে নয়, মমতায়। এর ফায়দা ভোটে তৃণমূল কতটা পাবে, তা বলবে সময়। তবে একথা নিশ্চিত, ডাকাবুকো গুরুংয়ের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। ইতিহাস বলছে, চার দশক ধরে পাহাড় হুঙ্কার ছেড়েছে, আর সমতল সমঝোতার রাস্তার খুঁজেছে। কিন্তু, মমতার স্ট্র্যাটেজি ও প্রশাসনিক দৃঢ়তার ঘটল ঠিক উল্টোটা। সমতলের সামনে মাথা ঝোঁকাল পাহাড়ের ‘ব্ল্যাকমেলিং পলিটিক্স’। আর সেটা এই প্রথমবার।
31st  October, 2020
রাজদণ্ড ও রাজমুকুট খসে পড়তে বাধ্য
পি চিদম্বরম

একটা নির্বাচনের পর কতগুলো দেশ এবং তাদের কতজন নাগরিক বলতে পারেন যে, তাঁরা চিন্তামুক্ত হয়েছেন? ইংরেজি ভাষায় ‘রাউন্ডিং দ্য কর্নার’ কথাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবদান! ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত অনেকাংশেই অবাধ এবং নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে আমেরিকার জনগণ জো বিডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে (মোটামুটিভাবে) চিন্তামুক্ত হলেন। কুকথা নিক্ষেপ এবং মিথ্যাচার সত্ত্বেও পরাজিত হলেন ট্রাম্প সাহেব।  বিশদ

দখলদারি নয়, লড়াই হোক
বাংলার উন্নয়নের জন্য
হিমাংশু সিংহ

অবাঙালি আগ্রাসন, ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা নেতাদের দাপাদাপি, শেষে পানের পিক ফেলে বিমানবন্দরের দিকে দৌড়—বাংলার রাজনীতি সচেতন মানুষ কখনও মেনে নেবেন না। বিশদ

08th  November, 2020
কর্মীদের চাঙ্গা করতেই
৩৫৬ ধারার ফাঁদ
তন্ময় মল্লিক

৩৫৬ ধারা জারির দাবি জোরদার করার পিছনেও রয়েছে এক কৌশল। নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অক্সিজেন জোগানোই এর উদ্দেশ্য। বিশদ

07th  November, 2020
জনাদেশ রক্ষাই আমেরিকার কাছে চ্যালেঞ্জ
মৃণালকান্তি দাস

 এই মুহূর্তে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারক প্যানেলে রক্ষণশীলরা ৬-৩’এ এগিয়ে। সেজন্যই ট্রাম্প হার-জিত ভুলে বসে থাকতে চাইছেন সাদা বাড়ির দরজায় ভিতর থেকে ছিটকিনি দিয়ে। বিশদ

06th  November, 2020
লোকাল ট্রেন: আসলে
দু’কুল রক্ষার লড়াই
হারাধন চৌধুরী

কোভিড একটি রোগ বা মহামারীর নাম শুধু নয়, স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের নাম। বিগত শতকের ভারত-চীন এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের চেয়েও বড় এই যুদ্ধ। পূর্বোক্ত যুদ্ধগুলি ছিল রাষ্ট্র এবং সেনা বাহিনীর মধ্যেকার। কিন্তু কোভিড-যুদ্ধ জড়িয়ে নিয়েছে সকলকে—সদ্যোজাত শিশু, গৃহবধূ থেকে অশীতিপর-নবতিপর নরনারী, এমনকী সবরকমে প্রতিবন্ধীকেও।   বিশদ

05th  November, 2020
 মোদি সরকার নিজেই
এক দুরারোগ্য অ্যাপ
সন্দীপন বিশ্বাস

দেশের মানুষ যখন অন্ধভাবে বিশ্বাস করলেন সরকারকে, তাঁদের সমস্ত তথ্য আপলোড করে তুলে দিলেন সরকারের হাতে, তখন তার সুরক্ষা নিয়ে সরকারের তেমন দায় সত্যিই কি নজরে পড়ল? পড়ল না। বারবার বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে।
বিশদ

04th  November, 2020
আর রাজনৈতিক অশান্তি চায় না পাহাড়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাহাড়ের শান্তি। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনতে পেরেছেন। বেঁচে থাকতে গেলে শান্তি দরকার সবার আগে... এই কঠিন সত্যটা হাড়ে হাড়ে জানে পাহাড়বাসী। বিশদ

03rd  November, 2020
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গান্ধীজির
পক্ষে ছিল সঙ্ঘ
জিষ্ণু বসু

১৯৩০-এ লবন সত্যাগ্রহেও হেডগেওয়ার অংশ নেন। গান্ধীজির নেতৃত্বে চলা স্বাধীনতা সংগ্রামের সামাজিক সংগঠন হিসাবে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন স্বয়ংসেবকরা। এত কিছুর পরেও সঙ্ঘ প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ নেয়নি। বিশদ

02nd  November, 2020
উদার গণতন্ত্রের মন্থর মৃত্যু
পি চিদম্বরম

‘গণতন্ত্র’ কিন্তু ‘উদার দেশ’ ধারণার সমগোত্রীয় নয়। একটি গণতন্ত্র অল্প সময়ের ভিতরেই অনুদার হয়ে যেতে পারে, যেটা ভারতের ক্ষেত্রে ঘটেছে। বিশদ

01st  November, 2020
আমেরিকান কর্পোরেট ও ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতকে বুঝতে হবে নিজেদের শক্তি। সেইমতো নতুন প্রেসিডেন্টের চোখে চোখ রেখে আদায় করতে হবে ভারতের স্বার্থ। এবার সিস্টেমটা বদলে যাক। আমরা আর মার্কিন কর্পোরেটের হাতে পুতুল হয়ে ব্যবহৃত হব না। বিশদ

30th  October, 2020
বিহারের ফল বাংলাতেও
প্রভাব ফেলবে
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

করোনা আবহে বিশ্বে সর্বাধিক ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিহার বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ভোটারের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ২০ বছর বিহারে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। বিশদ

30th  October, 2020
কৈলাসে ফিরতে
মন চাইবে না মা
হারাধন চৌধুরী

আমাদের পাশে থেকো মা। তোমাকে কথা দিচ্ছি, আগামীবার এসে দেখবে—আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত অসুখ সেরে গেছে। আমাদের কারও মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় নেই, কোনওরকম ছুঁৎমার্গ নেই। বিশদ

29th  October, 2020
একনজরে
মার্কিন প্রশাসনের কাছে তিনি ধমনী। ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে আমেরিকার সার্জেন জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বিবেক মূর্তি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট চিকিৎসক। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন। ...

বিধানসভা ভোটের আগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের ঘর গোছানোর উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রধান সংগঠনগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবিত। সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি সরাসরি  ভোটের প্রচারে অংশ নিতে পারে না। ...

খড়্গপুর-২ ব্লকের সাঁকোটির কাজিচকে রবিবার সকালে রান্নার গ্যাসের পাইপ লাইন লিক করে আগুন লেগে গেলে একই পরিবারের চারজন সহ মোট পাঁচজন জখম হন। জখমদের মধ্যে একজন শিশুও আছে। ...

রবিবার সকালে হবিবপুরের আইহোতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাস কন্ডাক্টর ও খালাসিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল ১০টা থেকে বাস রাস্তায় দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেন বাসচালক ও পরিবহণ কর্মীরা। এর জেরে আইহোতে মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৭৯৩: হুগলি নদীতে পৌঁছালেন ব্যাপ্তিস্ত মিশনারি মিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম কেরি
১৮৬১: কানাডায় টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সরকারিভাবে নথিভুক্ত প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়
১৮৭৭: ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’র রচয়িতা মহম্মদ ইকবালের জন্ম
১৯৬০: জার্মান ফুটবলার আন্দ্রে ব্রেহমের জন্ম
১৯৭৪: ইতালির ফুটবলার আলেকজান্দ্রো দেল পিয়েরোর জন্ম
১৯৮৯: বার্লিন দেওয়ালের পতন
২০০৫: ভারতের দশম রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণনের মৃত্যু
২০১১: নোবেল পুরস্কার জয়ী হরগোবিন্দ খুরানার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৯ টাকা ৭৪.৯০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৭৩ টাকা ৯৯.১৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৩৩ টাকা ৮৯.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
08th  November, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,০২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  November, 2020

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪২৭, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০, অষ্টমী ২/৩৪ দিবা ৬/৫১ পরে নবমী ৫৯/৭ শেষ রাত্রি ৫/২৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ৭/১২ দিবা ৮/৪২। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১০/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/২২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ গতে ৮/৩৫ মধ্যে পুনঃ ২/৬ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৩ গতে ১১/২০ মধ্যে।  
২৩ কার্তিক, ১৪২৭, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১২/৮ । মঘানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৪ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ১০/৫৮ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ গতে ৮/৩৬ মধ্যে ও ২/৭ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৪ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?
 

মেষ: সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। বৃষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। মিথুন: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহৃদয় মনোভাব ...বিশদ

04:29:40 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩,৯০৭
বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯০৭ জন। সোমবার ...বিশদ

08:00:31 PM

অস্ট্রেলিয়া সফর: ভারতীয় দলে রদবদল 
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ঘোষিত দলের মধ্যে বেশকিছু রদবদল করলেন নির্বাচকরা। ...বিশদ

04:56:00 PM

খাদ্যদ্রব্যের মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
করোনার আবহের মধ্যেই বাজার আগুন। আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জি ...বিশদ

04:19:01 PM

অভিনেতা অর্জুন রামপালকে হাজিরার নোটিস দিল এনসিবি 

03:36:00 PM

কাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর পাল্টা সভা তৃণমূলের
আগামীকাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। সকালে ভূমি ...বিশদ

03:35:00 PM