উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এদিকে এদিনের এই অবরোধের জেরে বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েন। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। অবরোধে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে। যদিও বিক্ষোভকারীরা অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে যাওয়ার রাস্তা করে দেয়। বাসকর্মীরা বলেন, ভাড়া নিয়ে এই রুটে মাঝেমধ্যেই গণ্ডগোল হচ্ছে। তবে এভাবে মারধর করা অন্যায়। তারই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
আক্রান্ত কন্ডাক্টর কৃষ্ণ রায় বলেন, মালদহ শহরের দিক থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার সময় পরপর দু’দিন আমাদের উপরে হামলা হল। এদিন সকালে ছয়জনের একটি দুষ্কৃতী দল হামলা করে আমাকে ও আমার সহকারীকে বেধড়ক পিটিয়েয়ে। এই হামলার পিছনে আইহোর এক ব্যক্তির মদত রয়েছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকারণে আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। মালদহ জেলা বাস ও মিনি বাস ওনারর্স অ্যাসোসিয়েশনের নালাগোলা রুট সেক্রেটারি রাহুল দত্ত বলেন, ভাড়া নিয়ে কথাকাটির কারণে শনিবার গণ্ডগোল হয়েছিল। তারই জেরে সেই বিবাদ রবিবার বড় আকারে ধারণ করে। পরিবহণ কর্মীদের উপর বেশ কয়েকজন হামলা করেছিল। যেকারণে সড়ক অবরোধ করা হয়। হবিবপুর থানার পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। হবিবপুর থানার পুলিসকর্তারা বলেন, বাসকর্মীদের মারধরের কারণে অবরোধ হয়েছিল। পরে অবশ্য আমরা অবরোধ তুলে দিয়েছি। আক্রন্ত বাসকর্মীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। বাস ও পরিবহণকর্মী সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে মালদহ থেকে নালাগোলাগামী বাস যাত্রী নিয়ে আসছিল। ওই বাসে আইহোর এক বাসিন্দা ছিল। বাসের ভিতর ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে কন্ডাক্টরের সঙ্গে তার বিবাদ লাগে। ওই ব্যক্তি আইহোতে নেমে কন্ডাক্টর ও খালাসিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এখানেই বিবাদ থেমে থাকেনি। রবিবার সকালে একই ব্যক্তি মুচিয়াতে তার ছয় বন্ধুকে নিয়ে ওই বাসেই ওঠে। বাসটি কয়েক কিলোমিটার এগতেই কন্ডাক্টরের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়ে যায়। তাদের হামলায় কন্ডাক্টর ও খালাসি অল্পবিস্তর জখম হন। ঘটনার প্রতিবাদে মালদহ-নালাগোলা রুটের সমস্ত বাসকর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে আইহোতে জমায়েত করেন। তাঁরা আইহো মোড়ের উপর বাস দাঁড় করিয়ে অবরোধ শুরু করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলার পর পুলিস আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।