উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পাট ব্যবসায়ী সংগঠনের দিনহাটার সম্পাদক কিষাণ সারদা বলেন, কলকাতার জুট কর্পোরেশনের অফিস থেকে ৬ নভেম্বর এক নোটিস জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে আগামী ১০ দিন পাট কিনতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। কোনও ব্যবসায়ী তাঁর গোডাউনে ৫০০ কুইন্টালের বেশি পাট মজুত করতে পারবেন না। যদিও ময়নাগুড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক কৃষ্ণা রায় বলেন, ওরকম কোনও নোটিস আমরা পাইনি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। এদিকে, এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া জায়নি জুট কর্পোরেশনের কোনও কর্তার।
পাট ব্যবসায়ী তপন গুহ বলেন, এরআগে আমরা ১৫০০ কুইন্টাল পাট গোডাউনে মজুত করে রাখতে পারতাম। নয়া নির্দেশিকায় তা ৫০০ কুইন্টালে নেমে এসেছে। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। তিন ধরনের পাট আবার তিন থেকে চাররকম মানের হয়। এক একটি মিলে এক একরকম কোয়ালিটির পাট পাঠাতে হয়। একটি গাড়িতে ১৬৫ কুইন্টাল পাট পাঠানো যায়। তাহলে কীভাবে আমরা বিভিন্ন ধরনের পাট গোডাউনে রাখব।
আরএক পাট ব্যবসায়ী রাজু সাহা বলেন, ৫০০ কুইন্টালের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নিতে হবে। একটি বড় গোডাউনে কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এত অল্প পাট রাখলে সকলকে কাজ দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে প্রচুর শ্রমিক বেকার হয়ে যাবেন।
সংগঠনের সম্পাদক ভগবান লাহোটি বলেন, আমরা এদিন বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। ওসব নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। এখন পাট ক্রয় বন্ধ রয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে আমরা পাট বিক্রি করব না। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা নিজেদের এলাকার স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্যস্তরের আধিকারিকদের ডেপুটেশন দেব। আমাদের আন্দোলনেও প্রশাসনের হুঁশ না ফিরে আরও বড় আন্দোলন হবে। জুট কমিশন থেকে গোডাউন পরিদর্শনে কোনও আধিকারিক এলে আমরা জেলাশাসকদের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাব।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের টেক্সটাইল মন্ত্রকের অধীনে থাকা জুট কর্পোরেশনের কলকাতা অফিস থেকে ওই নোটিস জারি করে। ওই নির্দেশিকা হাতে পেয়ে ব্যবসায়ীরা চরম সমস্যায় পড়েন। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, উত্তরবঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ পাট চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। নতুন নিয়মে তাঁরা যেমন সমস্যার সম্মুখীন হবেন, তেমনই প্রচুর লোক কর্মহীন হয়ে পড়বেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা পাট না কিনলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পাটচাষিরাও।