উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের টেম্পল স্ট্রিটে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী যোগমায়া কালীবাড়ি। জনশ্রুতি অনুসারে, ১০০ বছর আগে শহরের বুকে একটি কালীমন্দির নির্মাণ হয়। ১৯২৭ সালে টিনের চালাঘরে গড়ে ওঠা সেই মন্দিরকে নতুনরূপ দেওয়া হয়। সময় যত গড়ায়, ততই মন্দিরের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এখানে কালীপুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো হয়। কিন্তু কালীপুজোয় এই মন্দির অন্যরূপ নেয়। কিন্তু এবার সেই আয়োজনে অনেকটাই ভাটা পড়েছে।
মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ উৎপল মহন্ত বলেন, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও আমরা স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার প্রসাদ বিতরণ করা হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে। গেটে আমাদের ভলান্টিয়াররা দর্শনার্থীদের স্যানিটাইজ করবেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে গভীররাতে অঞ্জলি হবে।
করোনার কারণে জাঁকজমকে ভাটা পড়লেও উপাচারে কোনও খামতি থাকছে না। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জনার্দন চক্রবর্তী বলেন, মায়ের পুজো উপাচার মেনেই হবে। আমাদের এখানে ১০রকম উপাচার মেনে পুজো হয়। মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন করা হবে। মাকে আমরা নিত্যভোগ দিই। ভক্তদের সেই ভোগ প্রতিদিন বিলি করা হয়। কিন্তু এখন করোনার কারণে সেই ভোগ বিলি বন্ধ রয়েছে। মা এখানে দক্ষিণা কালীরূপেই পূজিতা হন। এখানে একসময় বলিদানের রেওয়াজ ছিল। ১০ বছর হল সেই রেওয়াজ বন্ধ রয়েছে।
করোনার কারণে আগেভাগেই বাড়তি সতর্ক মন্দির কমিটি। দুর্গাপুজো শুরুর আগে থেকেই মন্দির চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল চিহ্ন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মন্দিরের দেওয়ালে স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় এক পুণ্যার্থী বলেন, এই মন্দিরে আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করি। কালীপুজোর রাতে বহু ভক্তের সমাগম হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার তো করোনা সংক্রমণের ভয় রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করা বাঞ্ছনীয়।