উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এদিন দুপুরে ট্রাকচালকদের ওই অবরোধের জেরে যানজট তৈরি হয় এলাকায়। রবিবার বলে অবশ্য এদিন রাস্তায় যানবাহন অন্যদিনের তুলনায় কমই ছিল। তবুও রাস্তায় একের পর এক গাড়ি, বাইক দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টা খানেক ধরে চলে অবরোধ। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ট্রাকচালকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস। যেকোনও পরিস্থিতিতে চাঁদার জুলুমবাজি বন্ধ করা হবে বলে পুলিসের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ট্রাকচালকদের অভিযোগ,লকডাউনের ফলে এমনিতেই ব্যবসায় মন্দা। চরম আর্থিক সঙ্কট চলছে। তার উপর প্রশাসনের তরফে চাঁদা নিয়ে চাপ না দেওয়ার জন্য বলা হলেও তা নিয়ে জুলুমবাজি করছে স্থানীয় ক্লাবগুলি। তাঁরা চাঁদা কম নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও উদ্যোক্তারা কর্ণপাত করছেন না।
যদিও রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জ শহরের বড় বড় ক্লাবগুলির দাবি, চাঁদা নিয়ে কাউকেই কোনও চাপ দিচ্ছেন না তাঁরা। দুর্গাপুজোর সময় যেভাবে ক্লাব সদস্যদের টাকায় ও এলাকার বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় আর্থিক সাহায্যে যে টাকা উঠেছিল, তাতেই পুজো হয়েছিল, কালীপুজোতেও তাই করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রায়গঞ্জ পুলিস জেলার তরফে যাতে কেউ চাঁদা নিয়ে কারও উপর চাপ না দেয় সেব্যপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যে সকল উদ্যোক্তারা পুজো করছেন, তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে চাঁদা নিয়ে যেন কারও সঙ্গেই কেউ জুলুম না করেন। কোথাও এমন হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আমাদের থানার আধিকারিকরা নজরদারি রাখছেন। এখনও অবধি কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে তিমির মজুমদার বলেন, এবছর অন্যান্যবারের থেকে চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজির মতো ঘটনা অনেকটাই কম। করোনা পরিস্থিতির কারণেই এই জুলুমবাজি হয়তো কম হচ্ছে। তবে কালিয়াগঞ্জে এদিন একটি ঘটনা ঘটেছিল। চালকরা পথ অবরোধও করেন। পরবর্তীকালে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সমস্যা মিটে যায়। তবে চাঁদা নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, আমরা সেটাই চাই।