Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কৈলাসে ফিরতে
মন চাইবে না মা
হারাধন চৌধুরী

এই বঙ্গদেশ গঙ্গাবিধৌত। গঙ্গা আমাদের পুরো সত্তা জুড়ে। আমাদের আত্মার আত্মা গঙ্গা। আচমন থেকে বিসর্জন সবই আমাদের গঙ্গাজলে। মৃন্ময়ী মূর্তি থেকে চিন্ময়ী মা—সবারই জন্য অভিন্ন নিয়ম। অতএব গঙ্গাপুজো গঙ্গাজলেই সেরে নেওয়া যাক। এ আমাদের অভ্যাসের অঙ্গ। পাপ নয়, বরং পুণ্য। পুজোর কথা ঠাকুরের মুখ দিয়েই বলিয়ে নিই। বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বঙ্গজীবনে সেই জননীর মাহাত্ম্য বিচারেও রবিঠাকুরের বিকল্প রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আসুন তাঁর উপলব্ধির চোখ দিয়েই দেখি দেবীকে—‘‘মাটির কন্যার আগমনী গান এই তো সেদিন বাজিল। মেঘের নন্দীভৃঙ্গী শিঙা বাজাইতে বাজাইতে গৌরী শারদাকে এই কিছুদিন হইল ধরা-জননীর কোলে রাখিয়া গেছে। কিন্তু বিজয়ার গান বাজিতে আর তো দেরি নাই; শ্মশানবাসী পাগলটা এল বলিয়া, ...’’।
সত্যিই তাই। ‘‘বাজল তোমার আলোর বেণু ...’’ বলে মাকে আবাহন করার দিন কয়েকের ভিতরেই নবমীনিশি পোহানোর ব্যস্ততা, তাঁর বিদায়ের তোড়জোড় আমাদের পীড়া দেয়। দিকে দিকে বিজয়ার বাজনা বেজে ওঠে। মায়ের শ্মশানবাসী পাগল স্বামীটার যেন উমাকে ফিরিয়ে নেওয়ার তর সয় না। আর তিনি একবার চাইলে মাকে ফিরিয়ে না-দেওয়ার জো কোথায় মর্ত্যবাসীর! মেনকাও প্রতিবার প্রার্থনা করেন গিরিরাজপ্রাসাদ যেন আরও কিছুক্ষণ আলোকিত থাকে। দেবী উষার কাছে মেনকা করজোড়ে প্রার্থনা করেছিলেন, নবমীনিশি যেন এত তাড়াতাড়ি না-পোহায়, কন্যার বিদায়বেলা যেন আর একটু পিছিয়ে যায়। কিন্তু উষাও আশাহত করেন মেনকাকে—যথাসময়ে দশমীর ভোর উঁকি দেয়। তবুও মায়ের চেষ্টার অন্ত থাকে না। সখী বিজয়াকে মেনকা নির্দেশ দেন, হরকে সাফ বলে দাও, উমাকে এখনই পাঠানো যাবে না—‘‘জয়া বলো গো, পাঠানো হবে না,/ হর মায়ের বেদন কেমন জানে না।’’
আমরা জানি, মেনকার ভিতর দিয়ে আমাদের মতো কোটি কোটি সন্তানের এমন প্রার্থনা কখনওই মঞ্জুর হয় না। মাদুর্গা তিথি নক্ষত্র মেনেই পতিগৃহে ফিরে যান। নীলকণ্ঠ পাখিটাও পাগলা শিবের এমন ন্যাওটা যে শত শত মাইল পাড়ি দেয় উমার ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি সংবাদ নিয়ে। হরও তিথি নক্ষত্র মেনে গিরিরাজপ্রাসাদে হাজির হন দেবীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
অন্যদিকে, মায়ের বিদায়ের অনুভব আমাদের দুঃখিত, ব্যথিত করে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, এই দিনেই মাদুর্গা অশুভশক্তির বিরুদ্ধে বিজয়িনী হয়েছিলেন। মহিষাসুরের সঙ্গে ন’দিন ন’রাত্রি যুদ্ধ করে মাদুর্গা বিজয় লাভ করেছিলেন। মাটির পৃথিবীতে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠা করে দেওয়ার পর তাঁর আপাতত কীই-বা করার থাকে। তাঁকে তো ফিরে যেতেই হয় শিবলোকে, তিনি যে সময়মতো ফিরে যাওয়ারই কথা দিয়ে এসেছেন কৈলাসপতিকে।
মহাকবি দেখেছেন—‘‘হাসির চন্দ্রকলা তার ললাটে লাগিয়া আছে, কিন্তু তার জটায় জটায় কান্নার মন্দাকিনী। ... আমাদের শরতে আগমনীটাই ধুয়া। সেই ধুয়াতেই বিজয়ার গানের মধ্যেও উৎসবের তান লাগিল।’’
বিচ্ছেদ-বেদনার ভিতরেও আমরা সান্ত্বনা খুঁজে নিই—‘‘বারে বারে নূতন করিয়া ফিরিয়া আসিবে বলিয়াই চলিয়া যায়, তাই ধরার আঙিনায় আগমনী-গানের অন্ত নাই। যে লইয়া যায় সেই আবার ফিরাইয়া আনে। তাই সকল উৎসবের মধ্যে বড়ো উৎসব এই হারাইয়া পাওয়ার উৎসব।’’
অন্যদিকে, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেছেন, মাটির পৃথিবীর সঙ্গে, এখানকার সন্তানদের সঙ্গে মাদুর্গার বাস্তবে কোনও বিচ্ছেদই হয় না। তিনি সাকার রূপে পুজো নিয়ে নিরাকার রূপে কৈলাসে ফিরে যান। তাঁর সাবেক সাকার মূর্তিটাই আমাদের ঘিরে থাকে, আচ্ছন্ন করে রাখে।  
মা আসলে আমাদের মধ্যে রয়ে যান সর্বক্ষণের জন্যে। আমাদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে। বিশেষ করে দুঃখের ভার সমানভাবে গ্রহণের জন্য। এই যে দুঃসহ দু’হাজার বিশ সাল। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, এই সালের বিষবৎ ভার মায়ের জন্যেও সমান। তিনি স্বয়ংপ্রকাশিতা হয়ে, আমাদের সঙ্গে থেকে, আমাদের সবার যন্ত্রণা প্রত্যক্ষ করলেন। এই অপরিমেয় দুঃখনিবারণের উপায় তিনিই সাজাচ্ছেন নিজের হাতে।
ফের মায়েরই উপর ভরসা রাখি। তাঁকে পুরো একটা বছর আমরা সময় দেব। তিনি আমাদের সংবৎসরের প্রয়োজন গোছাতে থাকুন। চাল ডাল তেল নুন বস্ত্র ওষুধপথ্য-সহ সবকিছু। আশা করি, সেসব দিয়ে আগামী পুজোর আগেই আমাদের পুরো পৃথিবী গুছিয়ে নিতে পারবে। আমরা প্রস্তুত হয়ে যাব অন্যবারের মতো। সাকার মাকে মণ্ডপে মণ্ডপে সাজাব মহাসমারোহে। আগামীবারের উৎসব হবে সত্যিকারের উৎসব যেমন হয়, কোনওভাবেই এবারের মতো নয়। কাছে পেয়েও সন্তানরা মাকে কাছে পাইনি। অদ্ভুত এক দূরত্ব রেখে দিতে বাধ্য হয়েছি আমরা। মাও কোনওরকম প্ররোচনা দেননি। পাছে আমাদের স্বাস্থ্যবিধির আগল খুলে যায়, আমরা বড় কোনও ভুল করে বসি। পুজোর আয়োজন থেকে অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতাই বজায় রয়ে গেল বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে।
আলিঙ্গন বা কোলাকুলি থেকে দূরে রইলাম সকল বন্ধু প্রিয়জন। দূর থেকে নমস্কার সারলাম কিংবা সমস্ত প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা নিয়ে প্রবেশ করলাম ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। চিঠি লেখার সংস্কৃতিকে আগেই বিদায় জানিয়েছি আমরা। গুরুজনদের পা ছুঁয়ে প্রণাম এবং প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করার যে রীতিটা বাঁচাতে পেরেছিলাম, সেটাকেও এবার মুলতুবি রাখতে বাধ্য হয়েছি আমরা। না-মরে বেঁচে থাকা কাকে বলে—আমাদের দেখে জেনে গেছ মা নিশ্চয়। তেমনি পুজো করেও পুজো না-করার বছর গেল যে এবার আমাদের! এই দুঃস্বপ্নের কালের চিরনির্বাসন হোক পশ্চাতের করাল গর্ভে।
মাদুর্গার কাছে আমাদের প্রার্থনা—আগামীবার তোমার চিরকালীন আটপৌরে রূপেই ফিরে এসো মা। তোমার কোলে, তোমার আঁচলতলে মাথা রাখার মতো করে পেতে চাই তোমাকে, ফের। তোমাকে এইভাবে না-পেলে যে আমাদের কোনও সুখই সুখ বলে অনুভব হয় না। শত সুখও বিষাদের চাদের ঢাকা পড়ে যায়। চেনা রূপেই এসো মা, আমরা তার ভিতরেই আমাদের ষড়ঋতুর, সারা বছরের আলো, অপার সুখ খুঁজে নেব। তোমার আসা-যাওয়ার নিয়মে এবারের মতো অবাঞ্ছিত বৈচিত্র চাই না মা। এবার বিষাদময় যে ঘর নিজের চর্মচক্ষে দেখে গেলে, আমাদের, তাতে সবচেয়ে মজবুত তালাটা তুমি নিজের হাতে দিয়ো, চিরতরের জন্যে।
আমাদের পাশে থেকো মা। তোমাকে কথা দিচ্ছি, আগামীবার এসে দেখবে—আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত অসুখ সেরে গেছে। আমাদের কারও মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় নেই, কোনওরকম ছুঁৎমার্গ নেই। আমরা সবাই আগের মতো চঞ্চল, কর্মচঞ্চল। নদীর প্রবল স্রোত বা পাহাড়ি ঝরনাধারার সামনে যেমন কোনও বাঁধই যথেষ্ট নয়, তেমনি আমাদেরকেও কেউ রুখতে পারছে না। শিক্ষায়-গবেষণায়, ব্যবসায়-বাণিজ্যে, অর্থে-সম্পদে, খেলাধুলোয়, শিল্পে-কলায়, সাহিত্যে-সঙ্গীতে, রাজনীতিতে-রাষ্ট্রপরিচালনায়, জনচেতনায়-জনকল্যাণে, প্রেমে-ভালোবাসায়—সব সবদিকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে অগ্রণী। এখন থেকেই ভাবো তো মা, তাহলে আগামীবার তোমাকে আমরা আরও কত সুন্দরভাবে বরণ করে নিতে পারব। তোমাকে নিয়ে আমাদের আনন্দ উচ্ছ্বাস হবে সমস্তরকমে বাঁধন ছেঁড়া। তোমার জন্য আগমনি গান লেখা হবে নতুন উৎসাহে। দেখে নিয়ো মাদুগ্গা, আগামীবার পাগলা শিবের হাজার জোরাজুরি সত্ত্বেও পতিগৃহে ফিরে যেতে মন চাইবে না তোমার। একটুও না। এই মাটির পৃথিবী কৈলাসের অধিক মায়া ফেলে দেবে তোমার মনের আনাচে-কানাচে।
29th  October, 2020
রাজদণ্ড ও রাজমুকুট খসে পড়তে বাধ্য
পি চিদম্বরম

একটা নির্বাচনের পর কতগুলো দেশ এবং তাদের কতজন নাগরিক বলতে পারেন যে, তাঁরা চিন্তামুক্ত হয়েছেন? ইংরেজি ভাষায় ‘রাউন্ডিং দ্য কর্নার’ কথাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবদান! ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত অনেকাংশেই অবাধ এবং নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে আমেরিকার জনগণ জো বিডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে (মোটামুটিভাবে) চিন্তামুক্ত হলেন। কুকথা নিক্ষেপ এবং মিথ্যাচার সত্ত্বেও পরাজিত হলেন ট্রাম্প সাহেব।  বিশদ

দখলদারি নয়, লড়াই হোক
বাংলার উন্নয়নের জন্য
হিমাংশু সিংহ

অবাঙালি আগ্রাসন, ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা নেতাদের দাপাদাপি, শেষে পানের পিক ফেলে বিমানবন্দরের দিকে দৌড়—বাংলার রাজনীতি সচেতন মানুষ কখনও মেনে নেবেন না। বিশদ

08th  November, 2020
কর্মীদের চাঙ্গা করতেই
৩৫৬ ধারার ফাঁদ
তন্ময় মল্লিক

৩৫৬ ধারা জারির দাবি জোরদার করার পিছনেও রয়েছে এক কৌশল। নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অক্সিজেন জোগানোই এর উদ্দেশ্য। বিশদ

07th  November, 2020
জনাদেশ রক্ষাই আমেরিকার কাছে চ্যালেঞ্জ
মৃণালকান্তি দাস

 এই মুহূর্তে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারক প্যানেলে রক্ষণশীলরা ৬-৩’এ এগিয়ে। সেজন্যই ট্রাম্প হার-জিত ভুলে বসে থাকতে চাইছেন সাদা বাড়ির দরজায় ভিতর থেকে ছিটকিনি দিয়ে। বিশদ

06th  November, 2020
লোকাল ট্রেন: আসলে
দু’কুল রক্ষার লড়াই
হারাধন চৌধুরী

কোভিড একটি রোগ বা মহামারীর নাম শুধু নয়, স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের নাম। বিগত শতকের ভারত-চীন এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের চেয়েও বড় এই যুদ্ধ। পূর্বোক্ত যুদ্ধগুলি ছিল রাষ্ট্র এবং সেনা বাহিনীর মধ্যেকার। কিন্তু কোভিড-যুদ্ধ জড়িয়ে নিয়েছে সকলকে—সদ্যোজাত শিশু, গৃহবধূ থেকে অশীতিপর-নবতিপর নরনারী, এমনকী সবরকমে প্রতিবন্ধীকেও।   বিশদ

05th  November, 2020
 মোদি সরকার নিজেই
এক দুরারোগ্য অ্যাপ
সন্দীপন বিশ্বাস

দেশের মানুষ যখন অন্ধভাবে বিশ্বাস করলেন সরকারকে, তাঁদের সমস্ত তথ্য আপলোড করে তুলে দিলেন সরকারের হাতে, তখন তার সুরক্ষা নিয়ে সরকারের তেমন দায় সত্যিই কি নজরে পড়ল? পড়ল না। বারবার বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে।
বিশদ

04th  November, 2020
আর রাজনৈতিক অশান্তি চায় না পাহাড়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাহাড়ের শান্তি। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনতে পেরেছেন। বেঁচে থাকতে গেলে শান্তি দরকার সবার আগে... এই কঠিন সত্যটা হাড়ে হাড়ে জানে পাহাড়বাসী। বিশদ

03rd  November, 2020
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গান্ধীজির
পক্ষে ছিল সঙ্ঘ
জিষ্ণু বসু

১৯৩০-এ লবন সত্যাগ্রহেও হেডগেওয়ার অংশ নেন। গান্ধীজির নেতৃত্বে চলা স্বাধীনতা সংগ্রামের সামাজিক সংগঠন হিসাবে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন স্বয়ংসেবকরা। এত কিছুর পরেও সঙ্ঘ প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ নেয়নি। বিশদ

02nd  November, 2020
উদার গণতন্ত্রের মন্থর মৃত্যু
পি চিদম্বরম

‘গণতন্ত্র’ কিন্তু ‘উদার দেশ’ ধারণার সমগোত্রীয় নয়। একটি গণতন্ত্র অল্প সময়ের ভিতরেই অনুদার হয়ে যেতে পারে, যেটা ভারতের ক্ষেত্রে ঘটেছে। বিশদ

01st  November, 2020
‌বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন
ও পাহাড়ের রাজনীতি

তন্ময় মল্লিক

এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত চরিত্র বিমল গুরুং। রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেই গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ ও তৃণমূলকে সমর্থনে তাঁর ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমোর এই ডিগবাজি গেরুয়া শিবিরে বিনা মেঘে বজ্রপাত। বিশদ

31st  October, 2020
আমেরিকান কর্পোরেট ও ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতকে বুঝতে হবে নিজেদের শক্তি। সেইমতো নতুন প্রেসিডেন্টের চোখে চোখ রেখে আদায় করতে হবে ভারতের স্বার্থ। এবার সিস্টেমটা বদলে যাক। আমরা আর মার্কিন কর্পোরেটের হাতে পুতুল হয়ে ব্যবহৃত হব না। বিশদ

30th  October, 2020
বিহারের ফল বাংলাতেও
প্রভাব ফেলবে
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

করোনা আবহে বিশ্বে সর্বাধিক ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিহার বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ভোটারের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ২০ বছর বিহারে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। বিশদ

30th  October, 2020
একনজরে
বিধানসভা ভোটের আগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের ঘর গোছানোর উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রধান সংগঠনগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবিত। সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি সরাসরি  ভোটের প্রচারে অংশ নিতে পারে না। ...

চোটের কারণে নেইমার, এমবাপে, ইকার্ডিসহ একাধিক তারকা ফুটবলার দলে ছিলেন না। তা সত্ত্বেও ফরাসি লিগে জয়ের দৌড় অব্যাহত রাখল প্যারি সাঁ জাঁ। শনিবার ঘরের মাঠে ...

মার্কিন প্রশাসনের কাছে তিনি ধমনী। ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে আমেরিকার সার্জেন জেনারেল নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বিবেক মূর্তি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট চিকিৎসক। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন। ...

রবিবার সকালে হবিবপুরের আইহোতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাস কন্ডাক্টর ও খালাসিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল ১০টা থেকে বাস রাস্তায় দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেন বাসচালক ও পরিবহণ কর্মীরা। এর জেরে আইহোতে মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৭৯৩: হুগলি নদীতে পৌঁছালেন ব্যাপ্তিস্ত মিশনারি মিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম কেরি
১৮৬১: কানাডায় টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সরকারিভাবে নথিভুক্ত প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়
১৮৭৭: ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’র রচয়িতা মহম্মদ ইকবালের জন্ম
১৯৬০: জার্মান ফুটবলার আন্দ্রে ব্রেহমের জন্ম
১৯৭৪: ইতালির ফুটবলার আলেকজান্দ্রো দেল পিয়েরোর জন্ম
১৯৮৯: বার্লিন দেওয়ালের পতন
২০০৫: ভারতের দশম রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণনের মৃত্যু
২০১১: নোবেল পুরস্কার জয়ী হরগোবিন্দ খুরানার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৯ টাকা ৭৪.৯০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৭৩ টাকা ৯৯.১৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৩৩ টাকা ৮৯.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
08th  November, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,০২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  November, 2020

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪২৭, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০, অষ্টমী ২/৩৪ দিবা ৬/৫১ পরে নবমী ৫৯/৭ শেষ রাত্রি ৫/২৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ৭/১২ দিবা ৮/৪২। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১০/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/২২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ গতে ৮/৩৫ মধ্যে পুনঃ ২/৬ গতে ৩/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৩ গতে ১১/২০ মধ্যে।  
২৩ কার্তিক, ১৪২৭, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১২/৮ । মঘানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৪ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ১০/৫৮ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ গতে ৮/৩৬ মধ্যে ও ২/৭ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৪ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?
 

মেষ: সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। বৃষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। মিথুন: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহৃদয় মনোভাব ...বিশদ

04:29:40 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩,৯০৭
বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯০৭ জন। সোমবার ...বিশদ

08:00:31 PM

অস্ট্রেলিয়া সফর: ভারতীয় দলে রদবদল 
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ঘোষিত দলের মধ্যে বেশকিছু রদবদল করলেন নির্বাচকরা। ...বিশদ

04:56:00 PM

খাদ্যদ্রব্যের মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
করোনার আবহের মধ্যেই বাজার আগুন। আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জি ...বিশদ

04:19:01 PM

অভিনেতা অর্জুন রামপালকে হাজিরার নোটিস দিল এনসিবি 

03:36:00 PM

কাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর পাল্টা সভা তৃণমূলের
আগামীকাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। সকালে ভূমি ...বিশদ

03:35:00 PM