বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ফলে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে গৃহস্থের হাত পুড়েছে। বাধ্য হয়ে কমবেশি সকলে কাটছাঁট করে বাজার করেছেন। এদিন শিলিগুড়িতে প্রতিটি ফলমূলের দাম গত দু’দিন অপেক্ষা কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। আপেলের কেজি ১২০ টাকা ছিল। নারকেলের জোড়া ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। জলপদ্ম একটির দাম ছিল ২০ টাকা। প্যাকেটের তিলের নাড়ু ৩০ টাকা, চিড়ের মোয়া ৩৫ টাকা, নারকেলের নাড়ু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে শুরু করে টম্যাটো, গাজর, আলু সবকিছুরই দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে যায়। কাঁচালঙ্কা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বিধান মার্কেট, হাসপাতাল মোড়ে লক্ষ্মীপ্রতিমা বিক্রি হয়েছে ন্যূনতম ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকায়। এদিন জলপাইগুড়ির বাজারে আপেল ও পেয়ারা ছিল ১০০ টাকা কেজি। একডজন মালভোগ কলা বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। শশার কেজি ছিল ৮০ টাকা। নাসপাতি ও পানিফল ছিল ১০০ টাকা প্রতি কেজি। একপিস আখ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। লক্ষ্মীর ছোট প্রতিমা এদিন বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। ধানের ছরা বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকায়। সবমিলিয়ে জলপাইগুড়িতে লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় বাসিন্দাদের।
কোচবিহারও লক্ষ্মীপুজোর বাজারে প্রতিটি জিনিসের আগুন দর ছিল। লক্ষ্মীর সরা বিক্রি হয়েছে ৬০-৯০ টাকায়। ছোট প্রতিমা বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকায়। বড় প্রতিমার দাম ছিল ন্যূনতম ৩০০ টাকা। বাধ্য হয়ে গৃহস্থরা ছোট প্রতিমার দিকেই ঝোঁকেন। কোচবিহারে বাজারগুলিতে নারকেল এদিন ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। বাতাবি লেবু একটির দাম ছিল ২০ টাকা। এখানেও ধানের ছরা বিক্রি হয়েছে পাঁচটাকায়। লক্ষ্মীর ঘটে দেওয়ার জন্য ছোট ডাব বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা প্রতি পিস। এখানে আপেল ছিল ১০০-১২০ টাকা কেজি, চারটে অর্থাৎ একহালি কমলালেবু মিলেছে ৫০ টাকায়, পদ্মপাতা পিস প্রতি পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নাসপাতি, পানিফল ও রাঙা আলু বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি দরে। সব মিলিয়ে কোচবিহারেও লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের।
আলিপুরদুয়ারে পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলিতেও বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজার বাজার ছিল চড়া। আলিপুরদুয়ারে আপেল ৮০-১০০ টাকা কেজি, বেদানা ১০০ টাকা কেজি, মোসম্বি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারেও আখ পিস প্রতি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। কমলা একহালি ৬০ টাকা, বাতাবি লেবু ছিল প্রতি পিস ১৫ টাকা, জোড়া ডাব বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। বড় প্রতিমার দাম বেশি হওয়ায় ছোট প্রতিমার দিকেই ঝুঁকেছেন কমবেশি সকলে। ছোট প্রতিমা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। ধানের ছরা (আঁটিতে তিনটি) বিক্রি হয় ১০ টাকায়। ফলমূলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুজোয় আলিপুরদুয়ারে সব্জির দামও ছিল আকাশছোঁয়া। বেগুন ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১২০ টাকা ও আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। নিজস্ব চিত্র