বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বেসরকারি উদ্যোগে পাঠানো হচ্ছিল গম ভর্তি ১৭৫টি লরি। সব মিলিয়ে যার বাজারদর ১০ কোটি টাকারও বেশি। পুজোর সময় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঘোজাডাঙায় লরিগুলি আটক করে শুল্কদপ্তর। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে এত বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা ঘটেনি বলেই প্রশাসনিক মহলের মত। এ ব্যাপারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে বসিরহাট থানায়। পুলিস জানিয়েছে, আটক হওয়া গম ভর্তুকিযুক্ত রেশন-পণ্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে বহু রাঘব বোয়ালের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
শুল্কদপ্তর সূত্রে খবর, গত ২৩ তারিখ সকালের ঘটনা। সেদিন ছিল সপ্তমী। সুযোগ বুঝে ওই বিপুল পরিমাণ গম পড়শি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছিল। লরিগুলি খতিয়ে দেখতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ শুল্ক কর্তাদের। গম ভর্তি বস্তার গায়ে এফসিআইয়ের স্ট্যাম্প। বস্তাগুলি উল্টে দিয়ে গম ভরা হয়েছে। রপ্তানিকারীরা বিভিন্ন কাগজপত্র দেখালেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আধিকারিকরা। বিষয়টি জানানো হয় জেলা প্রশাসনকেও।
শুক্রবার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘সমস্ত গম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বৈধ কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। ইডিও পৃথকভাবে তদন্ত করছে।’ বসিরহাটের পুলিস সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘ওই গম রেশনের, নাকি খোলা বাজারের, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। রপ্তানিকারীদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।’ সম্ভবত এদিনই তাঁরা বসিরহাট থানায় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে, উত্তর ২৪ পরগনা সহ অন্যান্য জেলার একাধিক ব্যবসায়ী ওই গম বাংলাদেশে পাঠাচ্ছিলেন। তবে তাঁরা কোথা থেকে গম কিনেছেন, তা এখনও পুলিসের কাছে স্পষ্ট নয়। ধন্দে শুল্ক কর্তারাও।
এদিকে, গম রপ্তানিকারী ব্যবসায়ীদের দাবি, মোট ১৮৩টি গম ভর্তি লরি আটক করা হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও তাঁরা বাজার থেকে নির্দিষ্ট দামে গম কিনেছিলেন। উপভোক্তাদের সামগ্রী বিলির পর এফসিআইয়ের স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তা রেশন দোকানদাররা বাজারে বিক্রি করে দেন। কোনওভাবে ওইসব বস্তায় এবার গম ভর্তি করা হয়েছিল। তাই ধন্দ তৈরি হয়েছে।