বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন বাঁকুড়া জেলার সব ব্লকেই ধনদেবীর পুজো ঘিরে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকেই শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি। শহর ও গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি দুর্গাপুজো মণ্ডপেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। বিষ্ণুপুর শহরের চকবাজারে প্রায় ৮০ বছরের পুজো ছাড়াও স্টেশন মোড়ে ও বোলতলায় জাঁকজমকভাবে সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজো হয়। এছাড়াও গঙ্গাজলঘাঁটি, ওন্দা, বড়জোড়া সহ সদর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে একাধিক সর্বজনীন পুজোয় মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ। একইভাবে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে খাতড়া মহকুমার অম্বিকানগরের নামোপাড়ায় সকাল থেকেই সাজসাজ রব ছিল।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাতেও এদিন সকাল থেকেই লক্ষীপুজো নিয়ে ঘরে ঘরে ছিল চরম ব্যস্ততা। সকাল থেকেই বাড়িতে আলপনা দেওয়া ও পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এদিন বিকেল থেকে পুরুলিয়া শহরে বড়হাটের লক্ষ্মী প্রতিমা দেখার জন্য এলাকার মানুষ ভিড় করেন। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অন্যান্য বছর প্রায় ১০ হাজার মানুষের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকে। এবার সেসব কিছু হচ্ছে না। তবে, রীতি মেনে চারদিন ধরে পুজো হবে। পুরুলিয়া শহরের পাশাপাশি ঝালদা, রঘুনাথপুর মহকুমা ও জঙ্গলমহলেও লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরামবাগ মহকুমাজুড়েও এদিন সাড়ম্বরে লক্ষ্মীপুজো হয়েছে। মণ্ডপ করে লক্ষ্মীপুজো তেমন না হলেও প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ধনদেবীর আরাধনার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরই পুরশুড়ায় থিমের পুজোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। তাছাড়া প্রতিবছর মেলাও বসে। তবে, করোনা আবহে এবার সেই সব কিছুই হয়নি। পুরুলিয়ার বড়হাটের লক্ষ্মীপ্রতিমা। -নিজস্ব চিত্র