বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
নারায়ণবাবু ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবিভক্ত বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হয়েছিলেন। তারপর ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হন। পুজোর সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ক্যামরি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অক্সিজেন লেভেল নীচে নেমে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই কোভিড হাসপাতালে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। শুক্রবার সকালে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সভাধিপতি, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ জেলা তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কোভিড হাসপাতালে যান। তাঁরা বর্ধমান শহরে নারায়ণবাবুর বাড়িতে গিয়েও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এর আগে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডুও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক্যামরি কোভিড হাসপাতালে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত এবং তাঁর স্ত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত ভর্তি আছেন। কাটোয়া-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডলও করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই ক্যামরি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন বর্ধমান শহরে এসে মন্ত্রী তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
স্বপন দেবনাথ বলেন, নারায়ণ হাজরা চৌধুরী অত্যন্ত দক্ষ নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও আরও ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্গাপুরের ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে দুর্গাপুরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানে নতুন করে ১১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন সাতজন।