বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, নিয়ম মেনে রাসচক্র তৈরির কাজ লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়। এবারও সেই রাসচক্র তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। মদনমোহন মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন থেকে রাসচক্র বানানোর কাজ শুরু করে রাস উৎসবের আগে এই রাসচক্রটি নির্মাণ করা হয়। রাস উৎসবের আগের দিন আলতাফ মিঁয়া ওই রাসচক্রটি মদনমোহন মন্দিরে নিয়ে আসেন। মন্দিরে প্রবেশের পর ডানদিকের মাঠে একটি বিরাট খুঁটির মধ্যে রাসচক্রটি বসানো হয়। রাস উৎসব ও রাসমেলায় যাঁরা আসেন, তাঁরা প্রায় সকলেই এই রাসচক্র ঘোরান। রাসচক্রের গায়ে কাগজ দিয়ে নানা ধর্মীয় বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই রাসমেলায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। মন্দির সংলগ্ন রাস্তা ও রাসমেলার মাঠে মেলা বসে। সাধারণ মানুষ মন্দিরে এসে মদনমোহন ঠাকুরকে দর্শন করে রাসচক্র ঘুরিয়ে তারপর মেলার মাঠে প্রবেশ করেন। রাসচক্র বসানোর পর বিশেষ পুজো, যজ্ঞ প্রভৃতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাসচক্র ঘোরানো হয়। সেই রাসচক্র তৈরির কাজই এদিন থেকে শুরু হবে। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এক মাস ধরে আলতাফ মিঁয়া নিজের বাড়িতে বসেই রাসচক্রটি তৈরি করেন। ওই পরিবারের সদস্যরাও এটি তৈরির কাজে তাঁকে সহায়তা করেন। এখানে সূক্ষ্ম কারুকার্য থাকে। বাঁশ ও কাগজ দিয়ে এই কারুকার্য করা হয়। রাসচক্রে আটটি কোণ থাকে। ফাইল চিত্র