বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা কৃষি অধিকর্তা আশিস বারুই বলেন, সেপ্টেম্বরে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জেরে কৃষিকাজের ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেসময় আমন ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। গোটা জেলায় ৭৬০০ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষকরা কৃষকবন্ধু প্রকল্প এবং শস্যবিমা প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এছাড়াও আমাদের তরফে কোথায় বেশি ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাপুর গ্রামের রাজা মণ্ডল বলেন, নদীর জলে আমার আমন ধান তলিয়ে গিয়েছিল। জমিতে সেই জল পাঁচ দিন থাকায় বেশিরভাগ ধানের গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর আগে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। সরকার থেকে কবে যে ক্ষতিপূরণ দেবে, সেই দিকেই আমরা তাকিয়ে আছি। তপনের রামপাড়া চাসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুইতল গ্রামের অনিল মুর্মু বলেন, পূণর্ভবার জল আমার জমিতে ঢুকে পড়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে জল একইভাবে থাকায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদ্য আমন ধান লাগিয়েছিলাম। সেগুলির গোড়া পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কিছু ধান বেঁচে গিয়েছে। পরিচর্যা করার পরে কিছু অবশ্য বেঁচে গিয়েছে। তবুও এবছর ৭০-৮০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষতিপূরণের আর্জি জানাই। এবছর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গ ও বালাদেশে ভারী বর্ষণের জেরে আত্রেয়ী, টাঙন ও পূণর্ভবা নদীর জলস্তর চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। পূণর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে তপন ও গঙ্গারামপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এছাড়াও টাঙন নদীর জলে বংশীহারি ও কুশমণ্ডি ব্লকের বেশকিছু জমিতে এবং আত্রেয়ীর জলে বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ ব্লকের বহু গ্রামে জল ঢুকে আমনের জমি তলিয়ে যায়। এদিকে এসময়ে বেশি পরিমাণে আমন ধানের চাষ হয়। যার ফলে বহু ধানের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একইভাবে ধানের জমিতে এক হাঁটু, আবার কোথাও ধানের জমি ডুবে গিয়েছিল। যার ফলে গোটা জেলায় ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলায় এবছর ১ লক্ষ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। ধানের চাষও ভালো হয়েছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির জেরে প্রচুর জমিতে জল ঢুকে পড়ে। তবে ধানের জল সহ্য করার ক্ষমতা বেশি থাকায় বেশি ক্ষতি করতে পারেনি। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শস্যবিমা প্রকল্পের মাধ্যমে হেক্টর পিছু ক্ষতির প্রকৃতি অনুযায়ী পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। সেই ক্ষতিপূরণের জন্য ইতিমধ্যেই সার্ভে শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এবার চালের কিছুটা দাম বাড়তে পারে। প্রতীকী চিত্র