বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের ক্ষেত্রে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফের অভিযান শুরু করা হবে। আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান করা হয়েছিল। তারপরও এর ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারকারী ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই জরিমানা করা হবে। ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
করোনা আবহের মধ্যে শিলিগুড়িতে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সব্জি থেকে শুরু করে মাছ মাংস কেনার সময় বিক্রেতারা দেদার প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুজোর কয়েকদিন আগে বিধান মার্কেটের সব্জি ও ফল বাজারে অভিযান চালায় পুর কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেদিনই স্পষ্ট করা হয় ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু তারপর পুরসভার কোনও হেলদোল নজরে পড়ছে না বলে অভিযোগ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, পুরসভা কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তারা এই সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। তাই কোনও উদ্যোগ নেই। আসলে সবটাই ভোট ব্যাঙ্কের বিষয়। তাই সেভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না। মাঝেমধ্যে লোক দেখানো কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরসভা ইচ্ছে করে মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপী সাহা বলেন, আমরা চাই ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হোক। এব্যাপারে পুরসভা উদ্যোগ নিক। আমরা পুরসভাকে আগেও জানিয়েছিলাম। ফের তাদের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলব। অন্যদিকে ন্যাফের তরফে অনিমেষ বসু বলেন, পুরসভার এনিয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সমাজের স্বার্থে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার অতি দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন। প্রতীকী চিত্র