বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মী পুজো করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক পুরোহিত সমাজও। কঠোর সুরক্ষা ছাড়া পুজো করা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন পুরোহিত সংগঠনের জেলা কর্তারা। তাঁদের তরফ থেকেও বাসিন্দাদের কাছে এবার বাড়িতে ঘটপুজোর মাধ্যমেই লক্ষ্মীপুজো সারার আবেদন জানানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গীয় পুরোহিত সভার মালদহ জেলা কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা এই পরিস্থিতিতে ঘটপুজোর পরামর্শ দিচ্ছি। তারপরেও কেউ কেউ আবেগবশত পুরোহিত ডেকে চিরাচরিত পদ্ধতিতে পুজো সারতে চাইছেন। সেইসব যজমানদের বলেছি, পুরোহিতরা বাড়িতে গিয়ে পুজো করলে তাঁদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ও গ্লাভস দিতে হবে। পুজোর সময়ও বজায় রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব। যজমানই হোক বা পুরোহিত—কেউই এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হোক, তা আমরা চাই না। এদিকে, অন্যান্য বছর বিজয়া দশমী মিটতেই লক্ষ্মী প্রতিমা ও সরার পসরা সাজিয়ে ইংলিশবাজারে বসে পড়েন মৃৎশিল্পীরা। কেউ আসেন সুদূর কৃষ্ণনগর থেকে। আবার কেউ আসেন স্থানীয় আইহো বা জেলার অন্যান্য প্রান্ত থেকে। করোনা পরিস্থিতিতে ভিন জেলার ব্যবসায়ীদের দেখা প্রায় মেলেনি মালদহে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা মালদহে এসেছেন তাঁদেরও বিক্রিবাটার বেহাল দশা। আইহো থেকে ইংলিশবাজার শহরে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা নিখিল পাল জানান, প্রতিমা বিক্রি অত্যন্ত কম এ বছর। ছোট প্রতিমা তাও টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। বড় প্রতিমার চাহিদা অত্যন্ত কম। লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি করে লক্ষ্মীলাভের যে সম্ভাবনা ছিল, করোনার কারণে তা আর হল না।
একই অভিজ্ঞতা সরা বিক্রি করা ইংলিশবাজারের বাসিন্দা শঙ্কর পণ্ডিতেরও। তাঁর বক্তব্য, পূর্ববঙ্গ থেকে এদেশে আসা অনেকেই সরায় লক্ষ্মীপুজো সারেন। কিন্তু এবছর তেমন সরা বিক্রি হয়নি। অনেক গৃহস্থ ঘটে লক্ষ্মী পুজো সারছেন বলে প্রতিমা বা সরা বিক্রি অনেকটা কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মকদুমপুরের একটি পরিবারে ধানরূপী লক্ষ্মীপুজো হয়। প্রতি পুজোয় পাল্টাতে হয় ধান। কিন্তু করোনার কারণে এই ধান বদলানো সম্ভব না হওয়ায় ঘটেই তাঁরা লক্ষ্মীপুজো সারবেন বলে জানান গৃহকর্ত্রী রেখা সরকার। এমনই শহরের আরও পরিবারে ঘটেই লক্ষ্মীপুজো সারা হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনা ছাপ ফেলেছে মালদহ শহরের একটি প্রখ্যাত লক্ষ্মীপুজোতেও। ইংলিশবাজার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঠাবাড়ি চুনিয়াপাড়ায় লক্ষ্মীপুজো হয় রীতিমতো জাঁকজমক করে। মা লক্ষ্মীর সঙ্গেই পূজিত হন নারায়ণ, গণেশ, সরস্বতী, কার্ত্তিক, ব্রহ্মা, শিব সহ একাধিক দেবতা। লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচদিন ধরে মেলা চলে। এই পুজোর মূল আয়োজক রায় পরিবারের সদস্য বিশ্বনাথ রায় জানান, এবছর করোনার কারণে কমেছে আড়ম্বর। মেলা হচ্ছে মাত্র একদিনের। প্রতীকী চিত্র