বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জলপাইগুড়িতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। টানা লকডাউনের পর আনলক পর্ব শুরু হলেও কৃষকদের হাত এখনও প্রায় ফাঁকা। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সুরাহা দিতে আগামী সপ্তাহ থেকে সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর জলপাইগুড়ি জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা তারই আশেপাশে থাকবে বলে খবর। জেলায় মোট সাতটি কিষাণ মাণ্ডি থেকে এই ধান কেনাবেচা চলবে। করোনা পরিস্থিতি যেভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলায় তাতে বিশেষ সতর্ক খাদ্যদপ্তর। ধান কেনাবেচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ যাতে না বৃদ্ধি পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ির খাদ্য নিয়ামক গোবিন্দ ঘোষ বলেন, আমরা ২ নভেম্বর থেকে সরকারি নির্দেশ মেনে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করব। কৃষকদের নাম নথিভুক্তির কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশাবাদী, চলতি বছরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা গতবারের আশেপাশেই থাকবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য আমরা এবার বিশেষ সতর্ক রয়েছি। প্রতিটি কিষাণ মাণ্ডি স্যানিটাইজ করা হবে। প্রত্যেকে যাতে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলেন, সেটাও জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে অনলাইনের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারেন তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নভেম্বর মাসের শুরু থেকে রাজ্যে খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। করোনা পরিস্থিতির মাঝেও চলতি বছরে ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবার কুইন্টাল প্রতি ধানের দাম বেড়ে ১৮৬৮ টাকা হয়েছে। কৃষকদের জন্য নির্ধারিত টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। গতবছর যাঁরা ধান বিক্রি করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি কৃষকরা। তবে গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে যাতে করোনা বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে, সেই কারণে এই বিশেষ সতর্কতা, জানিয়েছে দপ্তর।