বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বালুরঘাটের গৃহবধূ টুম্পা সরকার বলেন, এবছর করোনার জন্য ছোট করেই পুজা করব বলে বাজারে এসেছি। কিন্তু এসে দেখছি ফলমূল, সব্জি, আতপ চাল থেকে শুরু করে সবকিছুরই দাম বেশি। শহরের ব্যবসায়ী টুকাই পাল বলেন, এবছর প্রতিমার দাম সামান্য বেশি। কিন্তু একেবারেই চাহিদা নেই। ছোট প্রতিমাগুলির দাম কম। বড়গুলির ২৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা অবধি দাম রয়েছে। কিন্তু বাজারে আগেরবারের মতো ভিড় নেই।
জানা গিয়েছে, ৭০ টাকার আতপ চালের দাম পুজোর জন্য হয়েছে ৮০ টাকা। এক কেজি শশার দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। অন্যদিকে, দশকর্মা ভাণ্ডারেও সরা, ঘট সহ নানান সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে। সেসবেরও দাম বেড়েছে।
একই সুর শোনা গেল পুরাতন মালদহ এবং ইংলিশবাজারেও। কম খরচে পুজো সারতে গিয়ে কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তা সত্ত্বেও অবশ্য বাজারে সবকিছুই অগ্নিমূল্য। পুরাতন মালদহ শহরের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটে পুজোর বাজার করতে এসেছিলেন বিনয় প্রামাণিক। তিনি বলেন, বাজারে কিছুতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। পুজো করতেই হবে বলে সবকিছুই একটু একটু করে নিয়েছি। বিক্রেতারা বলেন, দোকানে গত বছর থেকে ভিড় কম। যাঁরা আসছেন, তাঁরাও আবার বাজেট কমিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন।
এদিন সকাল থেকেই পুরাতন মালদহের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেট, ইংলিশবাজার শহরের রথবাড়ি, মকদমপুর বাজার, ঝলঝলিয়া মার্কেট গাজোল বাজার, সামসি বাজারে চড়া দামে লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রী বিক্রি হয়। সরার দাম বেড়েছে গড়ে ৩০ টাকা। বড় প্রতিমার দাম প্রায় ২০০ টাকা বেড়েছে। গত বছর যে শসা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়, এবার তা ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আপেল ৯০-১২০ টাকা কেজি, ডাব প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকা, নারকেল ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিন রায়গঞ্জের মোহনবাটি, এফসিআই বাজার সহ শহরের সর্বত্র দাম ছিল চড়া। ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, আদা ৭০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিনস ২০০ টাকা কেজি ও ক্যাপসিক্যাম ৩০০ টাকায় বিকিয়েছে। ফলমূলের দামও ছিল যথেষ্ট বেশি। আপেল ১০০ টাকা, নারকেল জোড়া ৭০ টাকা, খেজুরের প্যাকেট ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। করোনার জেরে অনেকেই পুজোর বাজার কাটছাঁট করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।